আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোনও চেষ্টাই কাজে দেয়নি। দেবেন্দ্র ফড়নবিসকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নেওয়া হয়েছে। ঢোক গিলেছেন একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবারই শপথ। কিন্তু দমার পাত্র নন তিনি। লক্ষ্মীবারে ডেপুটি হিসাবে শপথ নেবেন কিনা তা স্পষ্ট করলেন না। উল্টে দাবি করলেন, মহাযুতি জোটে ক্ষমতার সমীকরণে কেউ ছোট বা বড় নয়। 

বুধবার দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নাম ঘোষণার পরই একনাথ শিন্ডে বলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে আড়াই বছর ছিলাম। তাতেই আমি খুব খুশি। আমাদের মহাযুতি সরকার তিনটি দলের সমন্বয়ে তৈরি। নেতা তিনজন। আমরা গত আড়াই বছরে যে কাজ করেছি তা অসাধারণ। ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমরা খুশি যে আমরা এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

মহাযুতি নেতারা আজ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রাজ্যপাল দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে রাজ্যে পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সাংবাদিক বৈঠকে শিন্ডকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কি বৃহস্পতিবারই উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। ধোঁযাশা জিইয়ে রেখে তিনি জবাব দেন, 'রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।' তাহলে কী ক্ষমতার লড়াইয়ে নতুন মোড় অপেক্ষা করছে? 

শিন্ডের বক্তব্য শুনে দেবন্দ্র ফড়নবিসের আরেক ডেপুটি অজিত পাওয়ার বলেছেন, 'আমি নির্দিষ্ট দিনেই শপথ নেব। আসা করি শিন্ডেজি রাতে সব বুঝে যাবেন।' পাল্টা একনাথ শিন্ডে হাসতে হাসতে বলেন, 'দাদার (অজিত পাওয়ার) সকাল সন্ধ্যায় শপথ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। '

মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বৃহস্পতিবারই শপথ নেবেন অজিত পাওয়ার। তিনি একনাথ শিন্ডেকেও একই দিনে শপথের আহ্বান জানিয়েছেন। 

দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, 'নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সন্ধ্যার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব যে বৃহস্পতিবার কারা কারা শপথ নেবেন। মঙ্গলবার আমি একনাথ শিন্ডের  সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাঁকে এই সরকারেথাকার জন্য অনুরোধ করেছি। এটাই মহাযুতি কর্মীদের ইচ্ছা। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে তিনি আমাদের সাথী হবেন।' কুর্সিতে বসে মহারাষ্ট্রবাসীকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার কথা বলেছেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী।