আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরোয়া বিবাদের জেরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুরে। শনিবার গভীর রাতে ফসানগঞ্জ কচনাও গ্রামে এক নারী নিজের স্বামীর যৌনাঙ্গ ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম আনসার আহমদ (৩৮)। তাঁর দুই স্ত্রী— সাবেজুল ও নাজনীন বানো। তবে দুই বিবাহ থেকে কোনও সন্তান না হওয়ায় সংসারে প্রায়ই অশান্তি তৈরি হতো। শনিবার রাতেও দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনীন বানোর সঙ্গে তাঁর তীব্র বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সেই সময়েই নাজনীন রান্নাঘরের ছুরি হাতে তুলে নিয়ে স্বামীর ওপর চড়াও হন এবং ক্ষোভের বশে তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে দেন।

আরও পড়ুন: থানায় ঢুকিয়ে ব্যক্তিকে খাওয়ানো হল মূত্র, ধোয়ানো হল জুতোর ফিতে, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া

গুরুতর আহত আনসারকে প্রথমে স্থানীয় জগদীশপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থা জটিল হওয়ায় তাঁকে দ্রুত রায়বেরেলির সর্বভারতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে (AIIMS) রেফার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাত অত্যন্ত গুরুতর।

আরও পড়ুন:  মোদির সফরের এক সপ্তাহ পরেই ফের রক্তাক্ত মণিপুর!‌ জঙ্গি হামলায় শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও পাঁচ

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গ্রামে পৌঁছে অভিযুক্ত নাজনীন বানোকে আটক করেছে। জগদীশপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) রঘবেন্দ্র জানিয়েছেন, নাজনীনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদের ইতিহাস ছিল।

আরও পড়ুন:  বিয়ের কথাবার্তা চলার মাঝে ভয়াবহ পরিণতি যুবকের! সামান্য বচসায় এ কী করলেন প্রেমিকা? মাথায় হাত পরিবারের

গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সংসারে বারবার অশান্তি হলেও এমন রক্তাক্ত ঘটনার আশঙ্কা কেউ করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।