আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছর শেষ হতে বাকি রয়েছে আর কয়েকদিন। গোটা বিশ্ব দেখল ২০২৪ সবথেকে বেশি উষ্ণতম বছর। পার করে গেল ২০১৬ সালের রেকর্ডকে। এই সবের জন্য কারণ হিসাবে সকলের নজরে রয়েছে লা নিনা। তবে এখনও অনেকেই জানেন না লা নিনা কাকে বলে।

 

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, ‘লা নিনা’ হলো একটি আবহাওয়া পরিস্থিতি, যেখানে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব অংশের জল স্বাভাবিকের তুলনায় ঠান্ডা হয়ে যায়। এর ফলে বাতাসের চাপ ও তাপমাত্রার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটে। ডব্লিউএমও বলছে, আগামী তিন মাসে ‘লা নিনা’র প্রভাব বাড়তে পারে। তবে এই পরিস্থিতি খুব বেশি সময় স্থায়ী হবে না। সাধারণত ‘লা নিনা’র প্রভাব বাড়লে দক্ষিণ এশিয়ায় শীতকালে ঠান্ডা বায়ুর প্রবাহ বেড়ে যায়। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয় এই অঞ্চলে।

 

আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে ভারতও পড়বে এই প্রভাব। ডব্লিউএমওর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ‘লা নিনা’র প্রভাব বাড়লে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীত অনুভূত হতে পারে। গত বছরের চেয়ে এবার শীত বেশি থাকতে পারে। লা নিনার প্রভাবে শীত বেশি থাকে, এল নিনোর প্রভাবে গরম থাকে। এবছর বর্ষার শেষের দিকে অর্থাৎ গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাত বেশি ছিল। এমনকি অক্টোবর মাসেও প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এতেও ছিল ‘লা নিনা’র প্রভাব।

 

এবার শীতের তীব্রতা বাড়াতে বৃষ্টি ও কুয়াশাও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও অঞ্চলে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা আরও কমে ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে মাঝারি, ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তীব্র এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তা নিচে নামলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই এবারের শীত অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলেই আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।