আজকাল ওয়েবডেস্ক: লস্কর ই তৈবার একটি সংগঠন ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে এই জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে।


এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে একটি সূত্রকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে ২৬-১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সৈয়দের হাত থাকতে পারে। যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে এই মডিউলটি সরাসরি লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ এবং তার সহকারী সইফুল্লাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলে জানা গেছে। উভয়ই পাকিস্তান থেকে পরিচালিত বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার খবর অনুসারে, এই ধরণের মডিউল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) থেকে লজিস্টিক এবং কৌশলগতভাবে মিলে যাচ্ছে। এই গোষ্ঠীর গঠনে বেশিরভাগ বিদেশি যোদ্ধা রয়েছে। তবে কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন স্থানীয় এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অনুমান করছে গোয়েন্দা সংস্থা। 


পহেলগাম হামলায়, সন্ত্রাসীরা বৈসরান উপত্যকার তিনটি পৃথক স্থানে হামলা চালিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের মতে, এক স্থানে একসঙ্গে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল, দুজনকে খোলা মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এবং অন্যদের উপত্যকার চারপাশের কাছে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। যারা বেড়ার উপর দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তারা রক্ষা পেয়েছিল। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে আক্রমণকারীরা গুলি চালানোর আগে তাদের সঙ্গে কথাও বলেছিল।


জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার পহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত তিন সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করেছে। দুজন পাকিস্তানি নাগরিক: হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা। তৃতীয়জন, আব্দুল হুসেন থোকার, কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা। তাদের ধরার জন্য পুলিশ ২০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। 


তবে এই হামলার পিছনে লস্কর প্রধান হাফিজ সৈয়দের পরিকল্পনা থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যে কায়দায় হামলা করা হয়েছে তাতে এটাই বারে বারে অনুমান করছে গোয়েন্দা সংস্থা।