আজকাল ওয়েবডেস্ক : লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিতর্কিত বিল পেশ করলেন বিজেপি সরকারের সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সংসদে আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সেই ম্যারাথন আলোচনা। এদিকে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে লোকসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা।
বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে।
সরকারের যুক্তি, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তিতে কোনও ভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না সরকারের। নতুন বিলে তার বন্দোবস্ত রয়েছে। এর অর্থ হল ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত বা ঘোষিত কোনও সম্পত্তি এবার থেকে আর ওয়াকফের সম্পত্তি নয়।
???? MASSIVE NEWS BREAK
— Megh Updates ????™ (@MeghUpdates)
Any govt property IDENTIFIED or DECLARED as Waqf property, before or after the commencement of this ACT, shall not be DEEMED to be a Waqf Property ????
— Waqf Amendment Bill taken up for Consideration & PASSING in Lok Sabha. pic.twitter.com/QdK4cEWSlnTweet by @MeghUpdates
আপত্তি উঠেছে নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডে দুই অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বন্দোবস্ত নিয়েও। এছাড়া রয়েছে, একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব। প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। তারপর থেকেই বিজেপির তরফে বার বার প্রশ্ন তোলা হয়েছে ‘বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার’ নিয়ে। বিজেপির দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মুসলিমরা। নতুন আইন কার্যকর হলে সাধারণ মুসলিমরা উপকৃত হবেন।
কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, বাম দলগুলি ছাড়াও বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দল সম্মিলিতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে। বুধবার সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা চলবে ৮ ঘণ্টা। বিরোধী শিবিরে ওয়াকফ নিয়ে ঐক্যের ছবি দেখা গেলেও কিছুটা হলেও বিক্ষিপ্ত শাসক শিবির। এনডিএর শরিকরা বিল নিয়ে খানিক দোনামোনায়। চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সংশয়ে বিজেপির বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং লোকজনশক্তি পার্টি।
