আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক তরুণীর ওপর জবরদস্তি করার অভিযোগে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। আত্মরক্ষার জন্য ওই মহিলা  অভিযুক্তের জিভ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত যুবকের নাম চাম্পি (৩৫)। তিনি বিবাহিত এবং দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলা  সম্প্রতি পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য একজনের সঙ্গে বাগদান করেছেন। এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি চাম্পি। মহিলার পরিবার যখন বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন থেকেই চাম্পি ক্রমশ মানসিক চাপে পড়ে তাকে বারবার দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। মহিলা  স্পষ্টভাবে সম্পর্ক শেষ করতে চাইলে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

সোমবার দুপুরে মহিলা  স্থানীয় একটি পুকুরে যান। তাকে একা দেখে পিছন থেকে অনুসরণ করেন চাম্পি। অভিযোগ অনুযায়ী, পুকুরপাড়ে পৌঁছে তিনি মহিলাকে  জোর করে ধরেন, আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন এবং পরে জোর করে চুম্বন করার চেষ্টা করেন। মহিলা  বারবার প্রতিরোধ করলেও চাম্পি থামেননি এবং তাকে জোর করে চেপে ধরে রাখেন।

এই অবস্থায় আত্মরক্ষার শেষ উপায় হিসেবে মহিলা  চাম্পির জিভে শক্তভাবে কামড় দেন। এতে জিভের একটি অংশ ছিঁড়ে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চাম্পি চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তার পরিবারকে খবর দেন। পরিবার দ্রুত তাকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কানপুরের একটি বড় হাসপাতালে রেফার করা হয়।

কানপুরের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) দিনেশ ত্রিপাঠী সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে চাম্পির বিরুদ্ধে মোলোস্টেশন, জোর করে  চুম্বন ও হামলার মামলা রুজু করা হয়েছে। মহিলার  বিবৃতি নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, “মহিলা  আত্মরক্ষায় যা করেছেন, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের  আত্মরক্ষার অধিকারের গুরুত্ব আবারও সামনে এসেছে। গ্রামবাসীরা পুলিশের সক্রিয় পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

এদিকে অন্য এক ঘটনায়, মুম্বাইয়ে ২০২১ সালে প্রাক্তন স্ত্রীকে সাইবার-স্টকিংয়ের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার  করা হয়। পাঁচ বছরের সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে হলেও ২০২০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর প্রতিহিংসা থেকে ওই ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে প্রাক্তন স্ত্রীর বদনাম ছড়াতে থাকলে মহিলা  পুলিশে অভিযোগ করেন এবং পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।