আজকাল ওয়েবডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম স্ত্রীর ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস লিখেছিলেন, "আমি তোমার কাছে আসছি। সবাই আমায় ক্ষমা করো।" তার কিছু ক্ষণ পরেই হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল ২৭ বছরের যুবকের ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার সকালে রাধেনগর এলাকার একটি হোটেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অলোক বর্মা। তিনি জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা। হোটেলের ম্যানেজার অংশিক জানান, গত কয়েক মাস ধরেই অলোক মাঝেমাঝে এই হোটেলে এসে রাত কাটাতেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি হোটেলের ১১০ নম্বর ঘরে ঢোকেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ১০টা বেজে গেলেও দরজা না খোলায় কর্মীদের সন্দেহ হয়। ঘরের ভিতর ফোন বেজে চললেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে, সিলিং ফ্যান থেকে প্লাস্টিকের দড়িতে ঝুলছেন অলোক। তাঁর পরিবারের দাবি, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর অলোক দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর আচরণে বিষণ্ণতার কোনও ছাপ ছিল না। কেন তিনি এই চরম পথ বেছে নিলেন, তা নিয়ে ধন্দে পরিজনেরা। শহর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, কুরুক্ষেত্রের একটি বেসরকারি রিসর্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে বদ্ধ ঘরে কয়লার উনুন জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিলেন পাঁচ শ্রমিক। সেই উনুনের বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁদের। মৃতরা সকলেই উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা। এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ সেরে রাতে ওই পাঁচ শ্রমিক রিসর্টের একটি ঘরে ঘুমানোর তোড়জোড় করছিলেন। কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তাঁরা ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে ভেতরে কয়লার উনুন জ্বালিয়ে দেন। দীর্ঘক্ষণ বদ্ধ ঘরে কয়লা পোড়ার ফলে তৈরি হওয়া বিষাক্ত গ্যাসে অচেতন হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে সকালে অনেক বেলা হলেও ঘর থেকে কারও সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ হয় রিসর্ট কর্মীদের। খবর পেয়ে সিটি থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রিসর্ট কর্মী উপেন্দ্রর বয়ান অনুযায়ী, রাতে খাওয়া সেরে উনুন জ্বালিয়েই ঘরে ঢুকেছিলেন ওই শ্রমিকেরা। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখনও উনুনটি জ্বলছিল বলে জানিয়েছেন অধিকর্তা দিনেশ কুমার। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিসর্ট কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আরও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
