আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্রাবণ মাসের শেষ দিন, তার উপর রাখি। বাড়িতে এসেছিলেন বেশ কয়েকজন আত্মীয়। ফলে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছিলেন উন্নাওয়ের বাসিন্দা ধীরজ সিং। তাতেই কাল হল। নিরামিষ খাবারের বদলে দেওয়া হয় আমিষ। কড়াই পনিরের মধ্যে ছিল মাংসের টুকরো। মুখে দিতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এরপরই হুলস্থূল কাণ্ড। শেষমেষ হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। আপাতত ওই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ধীরজ সিং-এর দাবি, তিনি শনিবার রাতে একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাঁর আত্মীয়দের জন্য কড়াই পনির, পনির ফ্রাইড রাইস এবং পাঁচটি রুমালি রুটি অর্ডার করেছিলেন। খাওয়ার সময়, তিনি পনিরের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করেন। তারপর মুখ থেকে খাবার বার করে খতিয়ে দেখেন। তখনই দেখেন পনিরের মধ্যে রয়েছে মাংসের টুকরো।
স্থানীয় মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে কর্মরত ধীরজ সিং বলেছেন যে, তাঁর পুরো পরিবার নিরামিষাশী এবং এই ঘটনাটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের দিনে ঘটেছে যা তাঁদের ধর্মীয় পবিত্রতাকে অবমাননা করেছে।
বিষয়টি বুঝেই ধীরজ সিং অনলাইন ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে রেস্তোরাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের জবাবে অসন্তুষ্ট হন তিনি। পরে তিনি ঘটনার একটি ভিডিও রেকর্ড করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই সহ্গেই জেলা প্রশাসন এবং সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপেরর দাবি করেন।
সেই ভিডিও-টি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। যার ফলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেয়। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে- তদন্ত চলছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে, প্রধান খাদ্য আধিকারিক শৈলেশ দীক্ষিত এবং তাঁর দল রেস্তোরাঁটি পরিদর্শন করেন। তারপর সব খতিয়ে দেখে সাময়িকভাবে রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সরকারি আধিকারিকদের কাছে রেস্তোরাঁর মালিক স্বীকার করেছেন যে, নিরামিষ খাবারের অর্ডারে ভুলবশত আমিষ খাবার মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আধিকারিকরা আরও দেখতে পান যে, একই রান্নাঘরে নিরামিষ এবং আমিষ খাবার তৈরি করা হচ্ছিল। পরীক্ষার জন্য ময়দা এবং গ্রেভির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রধান খাদ্য আধিকারিক শৈলেশ দীক্ষিত জানিয়েছেন, নিরামিষ এবং আমিষ খাবারের জন্য পৃথক ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত রেস্তোরাঁটিকে রান্না বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
