আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তার অসামরিক মহড়া হতে চলেছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকেই বাড়ছে উত্তেজনা। এই জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নীরিহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ৭ মে গোটা দেশে অসামরিক মহড়া ঘোষণা করেছে। ৫৪ বছর পর এই ধরণের মক ড্রিল ঘোষণা করল ভারত। এখানে ব্ল্যাক আউট হতে পারে বলেও এনডিটিভি সূত্রে খবর মিলেছে। 


ব্ল্যাক আউট হল শত্রুর বিমান এসে যদি হামলা করে তাহলে সেখানে যাতে কম ক্ষতি হয় সেদিকে নজর রাখা। শত্রুর বিমান যাতে রাতের বেলা কোনও আলো দেখতে না পারে সেজন্য করে দেওয়া হতে পারে ব্ল্যাক আউট। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার আলো, বিভিন্ন কারখানার আলো, যানবাহনের আলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে দেশের প্রধান শহরগুলি এবং বড় বাজারগুলিতে এই নির্দেশিকা সবার আগে কার্যকর করা হবে।


রাতের বেলা যাতে শত্রুর বিমান হামলা চালিয়ে কোনও ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য ব্ল্যাক আউট করা হতে পারে বলেই খবর। এই সময় বেশকিছু নিয়ম সকলকে মেনে চলতে হবে। রাতের বেলা যদি বাড়িতে আলো জ্বলে তাহলে তার পাওয়া বে ২৫ ওয়াট। সেই আলো যেন ২০ ফুটের বেশি দূর থেকে না দেখা যায়।


রাতের বেলা বিভিন্ন উঁচু বাড়ির আলো জ্বালানো যাবে না। যদি বাড়ির ছাদে কোনও আলো জ্বলে তাহলে তাকেও বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলা কোনও গাড়ির আলো জ্বলবে না। সেখানে গাড়ির আলোর ওপর ব্লাউন পেপার দেওয়া থাকবে। গাড়ির আলোর ওপরের দিক সেখানে ঢাকা থাকবে। নিচের দিকে খোলা থাকবে।


যে সময় কোনও শত্রুর বিমান প্রবেশ করবে তখনই সেটা আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে যে বার্তা দেওয়া হবে। তারপরই গোটা এলাকায় ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হবে।


চার ধরণের এয়ার রেড করা হবে। প্রথমত, হলুদ এয়ার রেড। দ্বিতীয়ত লাল এয়ার রেড, তৃতীয়ত গ্রিন এয়ার রেড এবং চতুর্থত হোয়াইট এয়ার রেড। শত্রুর বিমানের গতিবিধি লক্ষ্য করে এগুলি দেওয়া হবে।