আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি হিংসা কাণ্ডে ধৃত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির কারকারডুমা আদালত। দুই সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। চলতি মাসেই রয়েছে উমরের বোনের বিয়ে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দানের জন্য জামিনের আবেদন করেছিলেন ধৃত। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকবেন উমর।
২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং সমপরিমাণ অর্থের দু'জন জামিনদারের শর্তে উমর খালিদের দু'সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
খালিদ ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের জন্য কারকারডুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, তাঁর বোনের বিয়ে ২৭ ডিসেম্বর নির্ধারিত রয়েছে এবং পারিবারিক অনুষ্ঠান ও প্রস্তুতির জন্য তার উপস্থিতি অপরিহার্য। গত বছরের ডিসেম্বরে, বিচারক খালিদকে পরিবারের একটি বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য সাত দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এর আগে, ২০২২ সালেও তাঁকে তাঁর বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন উমর খালিদ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উমর খালিদ।
আদালতের যুক্তি, বিয়েটি উমর খালিদের আপন বোনের। তাই তাঁকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। খালিদকে কোনও সাক্ষী বা মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মোবাইল ফোনের নম্বর তদন্তকারী আধিকারিককে দিতে হবে ও জামিনের পুরো সময় জুড়ে তা সক্রিয় রাখতে হবে।
আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, খালিদ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সময় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না এবং শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গেই দেখা করতে পারবেন। তাঁকে হয় নিজের বাড়িতে অথবা উল্লিখিত বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলেই থাকতে হবে।
আদেশে বলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় খালিদকে সংশ্লিষ্ট জেলের সুপারের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপর সুপারিনটেনডেন্ট আদালতে একটি সম্মতি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
তবে সুপ্রিম কোর্ট উমর খালিদের জামিনের আবেদন স্থগিত রেখেছে:
একদিন আগেই, সুপ্রিম কোর্ট ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে সংঘটিত হিংসা ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত ইউএপিএ মামলায় উমর খালিদ, শারজিল ইমাম এবং অন্যদের জামিনের আবেদনের রায় স্থগিত রেখেছে। উমর, শারজিল এবং অন্যদের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে দিল্লি পুলিশ বলেছিল, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির হিংসা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা ছিল না, বরং সেটি ছিল ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর একটি 'পরিকল্পিত, পূর্বনির্ধারিত এবং সুচিন্তিত' হামলা।
