আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছর শেষে ফের ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল উত্তরাখণ্ড। দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ। কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায়। বিষ্ণুগড়-পিপলকোটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পিপলকোটি টানেলের ভেতর একটি লোকো ট্রেন ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। লোকো ট্রেনে ১০৯ জন আধিকারিক ও কর্মী ছিলেন। দুর্ঘটনায় ৬০ জন আহত হয়েছেন। 

চামোলির জেলাশাসক গৌরব কুমার জানিয়েছেন, বিষ্ণুগড়-পিপলকোটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশ হিসেবেই তৈরি করা হয়েছে ওই টানেল। প্রকল্পের নির্মাণ কাজের জন্য কর্মী এবং মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য এই টানেল ব্যবহার করা হয়। এই কাজের জন্য একটি লোকো ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন আধিকারিক এবং শ্রমিকরা। সেই ট্রেনেই ছিল প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ট্রেনে মোট ১০৯ জন যাত্রী ছিলেন। 

চামোলির মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ৬০ জন আধিকারিক ও কর্মী আহত হয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০ জনকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে গোপেশ্বরের জেলা হাসপাতালে। বাকিদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বর্তমানে। কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এবার ঘটনাস্থল বিহার। লাইনচ্যুত সিমেন্ট বোঝাই মালগাড়ির একের পর এক বগি। কয়েকটি বগি উল্টে পড়ে নদীতেও। যদিও হতাহতের খবর নেই। এর জেরে রবিবার থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। একাধিক ট্রেনের রুট বদল করার ঘোষণা করেছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। চালু করা হয়েছিল হেল্পলাইন নম্বর। 

রেল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বিহারের শিমুলতলা স্টেশনের কাছে।  তেলিয়াবাজার হল্ট স্টেশনের কাছে ৬৭৬ নম্বর সেতুর উপর মালগাড়িটি লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। সিমেন্ট বোঝাই মালগাড়িটি যশীদিহ থেকে ঝাঝার দিকে যাচ্ছিল। কয়েকটি কামরা পড়ে যায় বরুয়া নদীতে। আসানসোল ডিভিশনে মালগাড়ির ১৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়।  

নভেম্বর ছত্তিশগড়েও একটি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে রেল দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন আরও ২০ জন। যাঁদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিলাসপুর-কাটনি রুটে ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটেছিল। লাল খাদান এলাকার কাছে যাত্রীবাহী কোরবা এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের অভিঘাতে একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হয়। এমনকী বহু কামরা সামনের কামরার উপরেও উঠে যায়। 

প্রাথমিক তদন্তের পর রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, সিগন্যাল ভেঙেই ছুটে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী মেমু লোকাল ট্রেন। কোরবা এক্সপ্রেসটিই সিগন্যাল ভাঙে। এরপর আপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। সজোরে ধাক্কা দেওয়ার পরেই কোরবা এক্সপ্রেসের প্রথম কামরাটি মালগাড়ির পিছনের বগিতে উঠে যায়। কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।