আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যুর খবর সামনে এল। সেখানকার স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দুজনেই করোনাতে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মোট ৬ হাজার ৬৬ জনের সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০৬ জনকে পজিটিভ হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল। এদের মধ্যে ১০১ জনই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। বাকিরা পুনে, থানে এবং কোলাপুরের বাসিন্দা।


স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ৫২ জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের দেহে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। ১৬ জনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো হয়েছে। তবে এখনই এবিষয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। 


গিরগিটির মতো রূপ বদলে আবার ফিরল করোনা। হংকং এবং সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ড পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিড-১৯ এর নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছে। এই ঢেউয়ের বেশিরভাগই ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট যেএনডটওয়ান এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বংশধরদের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর। মে মাসের শুরুতে সিঙ্গাপুরে ১৪,০০০ কেস দেখা গিয়েছে, হংকং এবং থাইল্যান্ডেও একই রকম ঢেউ দেখা গেছে। সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের মানুষ আতঙ্কিত। বিপদ ঘণ্টা বেজে গিয়েছে ভারতে! 


যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে এখনও করোনা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে পরিসংখ্যান পেশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশে এখনও অবধি আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭। যদিও এই হিসেব ১৯ মে অবধি। ১২ মে অবধি সংখ্যাটা ছিল ১৬৪। আর তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক যতই স্থিতিশীল বলুক, গত সাত দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০ বেড়েছে। 


কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে আক্রান্ত ৬৯ জন। একমাত্র মৃত্যুও সে রাজ্যেই। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪। এরপর তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু (‌৩৪)‌, কর্নাটক (‌৮)‌, গুজরাট (‌৬)‌, দিল্লি (‌৩)‌। হরিয়ানা, রাজস্থান ও সিকিমে আক্রান্তের সংখ্যা এক জন করে। তবে বাংলায় এখনও কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।


যদিও এই ভ্যারিয়ান্টের দেখা এখনও মেলেনি। এটি বিএ.‌২.‌৮৬ এর একটি সাব ভ্যারিয়ান্ট। এই ভ্যারিয়ান্টই ২০২৩ সালে ভয় ধরিয়ে ছেড়েছিল গোটা বিশ্বে। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা এখন দাবি করছেন, এই সাব ভ্যারিয়ান্টই নাকি এখন আতঙ্কের মূল কারণ। এই ভ্যারিয়ান্টের সঙ্গে ওমিক্রনের অনেকটা মিল রয়েছে। তাই এখন যারা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা, কাশি, গলায় সংক্রমণ, পেটের গন্ডগোলের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।