আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তুরস্কের 'ষড়যন্ত্র'। সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তাঁর সঙ্গে নানা মহল থেকে সন্দেহ পোষণ করা হয়। রামদেবের তাঁর যুক্তি ছিল, তুর্কির একাধিক সংস্থা বিমান রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে, তাই দুর্ঘটনার পিছনে এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। তবে রামদেবের এই অভিযোগ অস্বীকার করল তুরস্ক। জানিয়ে দিল, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুরস্কের কোনও সংস্থার হাতে ছিল।

কী বলল তুরস্ক?

তুরস্কের ‘ডিরেক্টরেট অফ কমিউনিকেশন সেন্টার ফর কাউন্টার ডিস ইনফরমেশন’-এর তরফে এক্স হ্যান্ডলে দাবি করা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুরস্কের সংস্থার হাতে ছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা, তুরস্ক-ভারত সম্পর্ক নিয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে ছড়ানো ভুয়ো তথ্য।’ তুরস্কের হুঁশিয়ারি, আন্তর্জাতিক স্তরে তুরস্কের সংস্থাকে কালিমালিপ্ত করার যে প্রয়াস চলছে, তার উপর নজরদারি রাখা হবে।

তুস্কের দাবি, যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল না তাদের সংস্থা ‘টার্কিশ টেকনিক’। এয়ার ইন্ডিয়া এবং টার্কিশ টেকনিক সংস্থার মধ্যে ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির আওতায় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ছিল না। তাদের সঙ্গে শুধুমাত্র বি-৭৭৭ রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি হয়েছিল বলে দাবি তুরস্কের।

কী বলেছিলেন রামদেব?

শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রামদেব বলেন, "আমি জেনেছি তুর্কির একাধিক সংস্থা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে। সেই সুবাদে ভারতের সঙ্গে শত্রুতার জায়গা থেকে ওদের তরফে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও এড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলে বিমান দুর্ঘটনার পিছনে এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারতের উচিত আরও বেশি নজরদারি চালানো। রক্ষণাবেক্ষণের নামে ষড়যন্ত্রের বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়া যায় না।" 

সন্দেহের প্রেক্ষাপট:

গত এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান শুরু করে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর। সেই ঘটনার পর ভারতের মাটিতে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করে পাকিস্তানও। সেখানে পাকিস্তানের সহায় হয় তুরস্ক। বিষয়টি নজরে আসার পর নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। দেশের বিমানবন্দরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত থাকা তুর্কির সংস্থাগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এইসবের মাঝেই মর্মান্তিক আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা তুর্কিযোগ থাকার গুঞ্জন শুরু হয়। যা এদিন নস্যাৎ করল পাক 'বন্ধু' দেশটি।