আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়ার জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন পাকিস্তানি জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতদের একজন জইশ-ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর কমান্ডার সাইফুল্লাহ। এই জঙ্গিই গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকা অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। বাকি দুই জঙ্গির নাম ফারমান ও বাশা। ওই দু'জনও জইশের সদস্য।

সংঘর্ষ ঘটে কিশ্তওয়ার জেলার নাইদগাম অরণ্যের ছাত্রু এলাকায়। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, নিহতদের নামে পাঁচ লাখ টাকা করে ইনাম ঘোষণা করা হয়েছিল। বহুদিন ধরে তিন জঙ্গি জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিল।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু'জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু'জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেয়। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহাযে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 12, 2025

সেনাবাহিনীর জম্মু-ভিত্তিক হোয়াইট নাইট কর্পস সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছে, "খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও, কিশ্তয়ারের ছাতরুতে চলমান অভিযানে আরও দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক নানা সমারাস্ত্র-সহ প্রচুর পরিমাণে যুদ্ধের জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।"

নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে।

জানা গিয়েছে যে, বুধবার থেকে উধমপুর জেলার বসন্তগড় এবং রামনগর এলাকায় আরও তিনজন সন্ত্রাসবাদীর একটি দলকে খুঁজে বের করার জন্য একটি পৃথক অভিযান চলছে।