নিতাই দে, আগরতলা: ত্রিপুরায় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খুব শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ত্রিপুরা। শনিবার আগরতলা থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যাওয়ার আগে এমনই জানালেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ত্রিপুরার আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী।
তাঁর কথায়, দ্রুত গতিতে পরিকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর টেকনো গ্রুপ। এ উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই টেকনোর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু হয়েছে। টেকনো ইন্ডিয়ার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই ত্রিপুরার এই বিশ্ববিদ্যালয়েও উৎকর্ষতা, গবেষণা এবং অত্যাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ গত চার দশক ধরে পূর্ব ভারতে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে আসছে। আগরতলার মহেশখলায় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ও ত্রিপুরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা টেকনো নলেজ ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় শুক্রবার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহা সেদিন টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং টেকনো গ্রুপের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি নিশ্চিত করেন, ভবিষ্যতে টেকনোর উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে।
রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী রতনলাল নাথও টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের শিক্ষা-পরিকাঠামো ও গুণগত মানের প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন নামী সংস্থায় চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে টেকনোর শিক্ষার্থীরা যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করছে তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণও টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ত্রিপুরার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং জানান, এতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার প্রসার আরও ত্বরান্বিত হবে।
টেকনো গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন মানসী রায়চৌধুরী ত্রিপুরা সরকারের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। দিনভর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টেকনো নলেজ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ। সন্ধ্যায় ‘মেঘবালিকা’ ও ‘কৃষ্ণকলি সাহা’-র সঙ্গীতানুষ্ঠান দর্শকদের মুগ্ধ করে। সাংস্কৃতিক পর্বে জাতি-উপজাতির মিলন-বার্তা ফুটে ওঠে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী ড. অরুণোদয় সাহা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকারসহ বহু বিশিষ্টজন।
উপাচার্য ড. রতনকুমার সাহা বলেন, বিশিষ্টজনেদের শুভেচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে। শনিবার কলকাতা ফিরে যাওয়ার আগে সত্যম রায়চৌধুরী জানান, ত্রিপুরায় আরও বড় উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আগামী দিনে ত্রিপুরার শিক্ষার উন্নয়নকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করবে টেকনো গ্রুপ। রাজ্যের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এই রাজ্যে তাঁদের কেরিয়ার গড়তে পারে সেই সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে টেকনো গ্রুপ।
