আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনের পর দিন নির্মম নির্যাতন। চাকরি করার পরেও সারাদিন পরিচারিকার মতো খাটানো হত। কাজে সামান্য খুঁত থাকলে কথা শোনাতেও ছাড়তেন না কেউ। শ্বশুরবাড়িতে লাগাতার নির্যাতনের পর অবশেষে চরম পদক্ষেপ ২৯ বছর বয়সি শিক্ষিকার। শ্বশুরবাড়িতেই নির্যাতনের বর্ণনা লিখে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিক্ষিকার স্বামী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। আত্মহত্যার আগে চিঠিতে শিক্ষিকা লিখেছেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুর চরম অত্যাচার করতেন তাঁকে। পরিচারিকার মতো সারাদিন কাজ করাতেন।
শিক্ষিকা লিখেছেন, 'সুন্দরী, শিক্ষিত পরিচারিকার দরকার ছিল ওঁদের। বিয়ের পর পরিচারিকার মতোই ব্যবহার করত। পাঁচ বছরে আমার সমস্ত কাজের খুঁত বের করত স্বামী। সারাদিন কাজ করাত। নিজের পরিবারের প্রতি কোনও কর্তব্য পালন করতে দিত না। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর নিয়ে রেখেছিল। আমি চাই আমার সন্তান যেন ওর বাবার মতো মানুষ না হয়।'
শিক্ষিকার মৃত্যুর পর তাঁর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানিয়েছেন, বিয়ের সময় পাত্রকে নগদ ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। আরও টাকা ও গাড়ি চেয়েছিলেন তাঁরা। পণ না দেওয়ায় মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষিকার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাশুড়ি এ ঘটনার পর থেকে পলাতক।
