আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুধু মক্কেলের মামলায় পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত কোনও আইনজীবীকে সরাসরি সমন পাঠানো যাবে না — বুধবার এমনই পর্যবেক্ষণ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন ও বিচারপতি এন কোটীশ্বর সিংহের বেঞ্চ গুজরাট পুলিশের এক সমনের প্রেক্ষিতে নিজে থেকেই এই বিষয়ে মামলা গ্রহণ করে।

আদালত জানায়, “আইনজীবীদের এভাবে সমন পাঠানো হলে তা বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা সরাসরি বিপন্ন করতে পারে।” আদালত আরও জানায়, এর ফলে বিচারপ্রক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়বে এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর জেনারেল, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেটস-অন-রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিদের সাহায্য চেয়েছে।

আদালত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে:

১. কেবল পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত আইনজীবীকে কি তদন্তকারী সংস্থা সরাসরি সমন পাঠাতে পারে?


২. যদি কোনও ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে আইনজীবীর ভূমিকায় আরও কিছু থাকে, তাহলেও কি আদালতের অনুমতি ছাড়া তাকে সমন পাঠানো ঠিক?

 

এদিকে, গুজরাটে সমনপ্রাপ্ত আইনজীবীকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে পরবর্তী নির্দেশের জন্য।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রিলিগেয়ার মামলায় প্রবীণ আইনজীবী অরবিন্দ দাতার ও প্রতাপ ভেনুগোপালকে ইডি-র সমন ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। পরে সেই সমন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় এবং ইডি একটি সার্কুলারে জানায়, আইনজীবীদের Section 132 অনুযায়ী যথেচ্ছভাবে সমন না পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।