আজকাল ওয়েবডেস্ক: তুষারাবৃত পাহাড়। মাঝে মাঝে এক থেকে দুইটি গাছ, পাথর। তার মাঝখান থেকেই যখন তখন উঁকিঝুঁকি দিতে পারে ‘দ্য ঘোস্ট অব মাউন্টেন্স'। যা আদতে হল 'স্নো লেপার্ড'। ধবধবে সাদা গায়ে বাঘের মতোই ডোরাকাটা দাগ। বরফে ঢাকা পাহাড়ের মাঝে যেভাবে গা ঢাকা দিয়ে থাকে, তা চট করে টের পাওয়া যাবেও না। দেশের মধ্যে একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে স্নো লেপার্ড। কোথায় গেল এর দেখা পাবেন?
গবেষকদের দাবি, ভারতের মধ্য লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশে স্নো লেপার্ডের দেখা পাওয়া যায়। এদেশে ৪০০ থেকে ৭০০টি স্নো লেপার্ড থাকতে পারে। গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্নো লেপার্ড রয়েছে চিনে। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই রাজ্যে তাওয়াং এবং বোমডিলায় ৩৬টি স্নো লেপার্ডের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে। যা অরুণাচল প্রদেশের সুস্থ বাস্তুতন্ত্রের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট ফরেস্ট অ্যান্ড ক্লাসমেট চেঞ্জ ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-ইন্ডিয়া মিলিতভাবে অরুণাচল প্রদেশে স্নো লেপার্ডের উপস্থিতির পরীক্ষা করেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৬টি স্নো লেপার্ডের দেখা মিলেছে উঁচু পাহাড়ি এলাকায়। ২০২১ সাল থেকে তারা পরীক্ষানিরীক্ষা চালায়। জঙ্গলের মধ্যে গোপন ক্যামেরায় একাধিক স্নো লেপার্ডের ছবিও ধরা পড়েছে। মোট ১১৫টি জায়গায় খোঁজ চালায় তারা। এর মধ্যে তাওয়াং ও বোমডিলায় স্নো লেপার্ডের দেখা পাওয়া গিয়েছে।
