আজকাল ওয়েবডেস্ক: চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ছ'বছরের নাবালিকাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ। চারদিন কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত তরুণ। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যৌন লালসার শিকার হয় ছ'বছরের এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে রাইসেন জেলায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত তরুণ। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত ২৩ বছরের তরুণের গ্রেপ্তারির দাবিতে সোমবার রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ।
সেই বিক্ষোভে সামিল হন ভোজপুরের বিধায়ক সুধীর বর্মা। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান সকলে। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, অভিযুক্ত তরুণের সন্ধান দিতে পারলে দশ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ধর্ষণের পর আরও দু'ঘণ্টা নির্যাতিতা নাবালিকা অপেক্ষা করেছিল অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৪৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ জনতা। চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল ওই সড়কে। ১৪ কিমি লম্বা রুটে স্তব্ধ ছিল যান চলাচল।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ২১ নভেম্বর। গোহারগঞ্জে বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করছিল নাবালিকা। সেই সময় চকোলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত তরুণ নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নির্জন এলাকায় তাকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘক্ষণ পর ওই জঙ্গল থেকে নাবালিকার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান, নাবালিকা যৌন লালসার শিকার হয়েছে।
গত সপ্তাহে আরও এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মাসির বিয়েতে হুল্লোড়ের মাঝেই সর্বনাশ খুদে ভাইঝির। বিয়েবাড়িতে যৌন লালসার শিকার সে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। হাড়হিম কাণ্ড খাস যোগীরাজ্যে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়েবাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তিন বছরের এক খুদে। অভিযুক্তকে নির্যাতিতার আত্মীয়রাই আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নির্যাতিতা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। সেদিন বিয়েবাড়িতে পৌঁছয় বরযাত্রীরা। শোভাযাত্রা বিয়েবাড়িতে পৌঁছতেই নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। সেই সময় পাত্রীর ভাইঝির উঠোনে আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। আচমকা ওই গ্রামের ৩৬ বছরের এক যুবক তিন বছরের শিশুটিকে কোলে নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পরেই সকলে টের পান, খুদে নিখোঁজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন সকলে। আতঙ্কে চেঁচামেচিও শুরু হয়। প্রায় দু'ঘণ্টা পর খুদেকে নিয়ে সেই বিয়েবাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে অভিযুক্ত যুবককে দেখা যায়। সেই সময় খুদে অচৈতন্য অবস্থায় ছিল। তার জামায় ছিল রক্তের দাগ।
তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর পাঠায় পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে তারা। অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুকন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই লখনউয়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাকে।
