আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে দেশের সীমান্ত বদলের ইঙ্গিত। রাজধানী নয়াদিল্লিতে সিন্ধি সমাজের এক অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে রাজনাথ সি বলেছেন, সিন্ধু অঞ্চল আজ ভারতের না হলেও ভবিষ্যতে তা ভারতের অংশ হতে পারে। তাঁর কথায়, সিন্ধু ভূমি ভারতের অংশ নাও হতে পারে, তবে সভ্যতার দিক থেকে, সিন্ধু সর্বদা ভারতের অংশ থাকবে। অর্থাৎ সীমান্ত বদলের
সিন্ধু প্রদেশ, সিন্ধু নদীর কাছের অঞ্চল, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ওই অঞ্চল পাকিস্তানে চলে যায়। সেই অঞ্চলে বসবাসকারী সিন্ধি হিন্দুরা ভারতে চলে আসেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দাবি, সিন্ধি হিন্দুরা- বিশেষ করে লালকৃষ্ণ আদবানূর মতো নেতাদের প্রজন্ম কখনও ভারত থেকে সিন্ধু অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতা মেনে নেয়নি। রাজনাথ সিংয় বলেছেন, "আমি আরও উল্লেখ করতে চাই যে লালকৃষ্ণ আদবানী তাঁর একটি বইতে লিখেছেন যে- সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে তাঁর প্রজন্মের লোকেরা, এখনও ভারত থেকে সিন্ধুর বিচ্ছিন্নতা মেনে নেয়নি। শুধু সিন্ধুতে নয়, সমগ্র ভারতে, হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করে। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করতেন যে সিন্ধুর জল মক্কার আব-এ-জমজমের চেয়ে কম পবিত্র নয়। এটি আদবানীজির উক্তি।"
চলতি বছর ২২শে সেপ্টেম্বর মরক্কোতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় রাজনাথ সিং বলেন যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ভারত কোনও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ না করেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) দখল নিতে পারবে, কারণ পিওকে-র মানুষ দখলদারদের হাত থেকে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। রাজনাথের কথায়, "পিওকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই আমাদের হয়ে যাবে। কারণ পিওকে-তে দাবি করা উঠেছে, আপনারা নিশ্চয়ই সেই স্লোগান শুনতে পেয়েছেন।"
পাক বাহিনীর মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী কাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সময়, কিছু বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছিলেন যে ভারতীয় বাহিনীর পিওকে-তে প্রবেশ করা উচিত ছিল এবং ভারতের মালিকানাধীন অঞ্চলের দখল সুরক্ষিত করা উচিত ছিল। তার প্রেক্ষিতেই রাজনাথ পিওকে নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন।
