আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারে ধরাশায়ী আরজেডি। বড় নির্বাচনী বিপর্যয় ঘটেছে লালু প্রসাদ যাদবের দলের। মোট ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০২টিতেই জিতেছে এনডিএ প্রার্থীরা। প্রশ্নের মুখে লালু-পুত্র তেজস্বীর নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। চরম হতাশার মধ্যেই অবশ্য রূপোলি আলোর সন্ধান মিলেছে আরজেডির জন্য। অ্যাসেন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিজের নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, লালু যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি-র পক্ষেই রয়েছে মুসলিম ও যাদবদের সমর্থন। মুসলিম-যাদব ভোট 'মহাগঠবন্ধন'-এর ভোট ভাগের প্রায় ৬০ শতাংশ।

তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের মোট ৩৮ শতাংশ ভোটের ১০ শতাংশ যাদব ভোট। মুসলিম ভোট রয়েছে ১৩ শতাংশ।

অন্যদিকে, এনডিএ-র মোট ৪৭ শতাংশ ভোটের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ যাদব এবং ২ শতাংশ মুসলিম ভোট।

অ্যাসেন্ডিয়ার সমীক্ষা অনুসারে, তথাকথিত উচ্চবর্ণের একটি বৃহৎ অংশ এনডিএকে বেছে নিয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, এনডিএ-র ৭ শতাংশ ভোট সাধারণ শ্রেণি থেকে এসেছে, কিন্তু মহাজোটের পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ২ শতাংশ।

যাদব-বহির্ভূত ওবিসিরা'ও এনডিএকে বিপুল ভোট দিয়েছে। এনডিএ-এর প্রাপ্ত ভোটের প্রায় ৭ শতাংশ ভোট এসেছে অ-যাদব ওবিসি জনসংখ্যা থেকে। মহাজোটের জন্য, এই সম্প্রদায়ের অবদান মাত্র ৩ শতাংশ।

এনডিএ-এর পক্ষে পড়েছে ওবিসি-এসসি-এসটি ভোট। শাসক জোট প্রাপ্ত ভোটের ৬০ শতাংশই এই বর্ণ থেকে পেয়েছে।

ওবিসি জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ এনডিএ-এর পক্ষে ভোট দিয়েছে, যেখানে মহাজোট পেয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। এসসি-এসটি'রাও এনডিএকে সমর্থন করেছে। এনডিএ-র প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের। মহাজোটের এসসি-এসটি ভোটের ভাগ ছিল মাত্র ৪ শতাংশ।