আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে গড়িয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে। বছর শেষে থমথমে পরিবেশ পাহাড়ি শহরে। দুর্ঘটনায় একের পর এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, আলমোড়া জেলার ভিকিয়াসেনে কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগম-এর একটি মিনি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মিনি বাসটিতে ১৮ জন ছিলেন। দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যাত্রীবাহী বাসটি এদিন সকালে দ্বারাহাট থেকে রামনগরের দিকে যাচ্ছিল। ভিকিয়াসেনের কাছে একটি বাঁকে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। হঠাৎ বাসটি পাহাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে কয়েকশো ফুট নীচে গভীর খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আলমোড়ার সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ দেবেন্দ্র পিঞ্চা জানিয়েছেন, 'খাদ থেকে সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১১ জন আহত যাত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় ভিকিয়াসেন সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।' প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে একটি পোস্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, 'উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় বাস দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। যাঁরা প্রিয়জনদের হারালেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।'
নভেম্বরের শেষে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বিয়েবাড়িতে তুমুল হুল্লোড়। নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। বাড়ি ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে উল্টে পড়ে গাড়ি। ঘটনাস্থলে মর্মান্তিক পরিণতি হয় তিন শিক্ষকের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হন আরও এক শিক্ষক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে খয়রনা-কাইঞ্চিধাম রুটে রাতিঘাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। পাহাড়ি রাস্তায় ৬০ মিটার গভীর খাদে গাড়িটি পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের নাম, সঞ্জয় বিষ্ট, সুরেন্দ্র ভাণ্ডারী ও পুষ্কর ভাইসোরা। আহত ব্যক্তির নাম মনোজ কুমার। তাঁরা প্রত্যেকেই আলমোড়ার বাসিন্দা।
নৈনিতালের পুলিশ সুপার জগদীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, 'শনিবার রাতে স্থানীয়দের থেকে আমরা জানতে পারি খৈরনা-কৈঞ্চিধাম রুটের রতিঘাটে একটি গাড়ি গভীর খাদে পড়ে গেছে। ওই চারজনই সরকারি স্কুলের শিক্ষক। আলমোরা থেকে তাঁরা হালদওয়ানিতে যাচ্ছিলেন। এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন শিক্ষকের।'
