আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি জেলার চন্দওয়ানি গ্রামে এক অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি-কে স্ত্রী ও দুই ছেলে মিলে বেধড়ক মারধরের চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পারিবারিক অর্থসংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি প্রতিপাল সিং যাদবকে তাঁর স্ত্রী মায়া যাদব এবং দুই ছেলে আকাশ ও আভাস মিলে হাত-পা বেঁধে ফেলে। তাঁর মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ছেলে তাঁর বুকের ওপর বসে রয়েছে আর অন্যজন দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে দিচ্ছে। এরপর তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে যাদবকে উদ্ধার করেন। তাঁদের দাবি, অবসর ভাতা থেকে পাওয়া কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েই এই বিবাদ বাধে।

জানা গেছে, যাদব গত ১৫ বছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের থেকে আলাদা থাকছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি শেওপুর থেকে ডিএসপি পদে অবসর নেন। ঘটনার পর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, মায়া যাদবের দাবি, ‘ওনার মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। উনি পাগল হয়ে গিয়েছেন। আমরা শুধু ওঁকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম’। পিছোরের বর্তমান ডিএসপি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি প্রতিপাল সিং যাদবকে তাঁর স্ত্রী মায়া যাদব ও দুই ছেলে আকাশ ও অভাস আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে বেঁধে মোবাইল ও এটিএম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে’।

উল্লেখ্য, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলাতেও পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, অন্ধকার রাস্তায় স্ত্রীকে মেরে খুন করেন স্বামী। শনিবার গভীর রাতে স্বামীর মারধরে মৃত্যু হয়েছে মনজুরা খাতুন নামে এত মহিলার (২৮)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী রজব আলি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিঙ্গুরের পায়ড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা রজব আলির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য অশান্তি চলছিল মনজুরার। দিন পনেরো আগে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে রজব। এরপরই মনজুরা বাপের বাড়ি ভদ্রেশ্বরের ন’পাড়া এলাকায় চলে যান এবং বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ভদ্রেশ্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন পর রজব ফোন করে মনজুরাকে জানায়, ঝামেলা মিটিয়ে সংসার করবে। সেই বিশ্বাসে মনজুরা আবার শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন।

তবে কয়েকদিন আগে শ্বেতপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রজবকে থানায় দেখা করতে বলা হয়। এরপরই শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে ফোন করে রজব হুমকি দেয়, ‘জেলে যখন যেতেই হবে, তোকে মেরেই যাব’। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে শনিবার রাতে দুই সন্তান ও এক প্রতিবেশী মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে মামার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন মনজুরা। কিন্তু বিলাতপুরের কাছে রজব পথ আটকায়। সন্তানদের ওই মহিলা ও রজবের এক বন্ধুর হাতে পাঠিয়ে দিয়ে মনজুরাকে একা ফেলে দেয়। অভিযোগ, এরপর মনজুরা পালানোর চেষ্টা করলে রজব তাকে ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে। খবর পেয়ে মৃতার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে জানান। পুলিশ রাতে দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী রজব আলি পলাতক। দাদপুর থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।