আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রেটার নয়ডার একটি বহুতল আবাসনে বসবাসকারী বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। সুরাহার বদলে তাদের জুটল ঘুষি, লাথি এবং লাঠি পেটা! বৃহস্পতিবার রাতে ইকোভিলেজ-১ সোসাইটিতে এই ঘটনা ঘটে।

ওই নির্মম ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আবাসনের রক্ষী এবং অন্যান্য কর্মীরা কিছু বাসিন্দাকে লাঠি দিয়ে মারছেন। আরেকটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, তিন থেকে চারজন লোক কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিশুর সামনে বাসিন্দাদের ঘুষি ও লাথি মারছে।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 27, 2025

পুলিশের মতে, হাউজিং কমপ্লেক্সে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকায় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা রক্ষণাবেক্ষণে যুক্ত কর্মীদের কাছে অভিযোগ করতে যান। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও কারণ না জানানোয় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র তর্কাতর্কি হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই, রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী এবং কিছু নিরাপত্তারক্ষী তাদের বিরুদ্ধে হিংস্র হয়ে ওঠে।

নির্যাতিত একজন বাসিন্দার দাবি, গরমের মধ্যে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ ছিল না। তিনি বলেন, "দুই থেকে তিন ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ আসেনি। রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা আমাদের ফোন ধরছিলেন না, তাই আমরা নীচে চলে গেছিলাম। আমরা যখন সেখানে গেলাম, তখন আরও কিছু বাসিন্দা ইতিমধ্যেই সেকানে পোঁচে গিয়েছিলেন।, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। আমরা যখন কথা বলছিলাম, তখন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের কয়েকজন সদস্য আমাদের ঘুষি মারতে শুরু করে। অন্যরা আমাকে লাঠি দিয়ে মারে, অন্য একজন লোক আমার কলার ধরে। আমাকেও থাপ্পড় মারে... আমার পুরো শরীর ফুলে যায়। আমার বাচ্চারা দূরে দাংড়িয়ে কাঁদছিল।" 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম রবীন্দ্র, সোহিত, শচীন কুন্তল এবং বিপিন কাসানা। সেন্ট্রাল নয়ডার ডিসিপি শক্তি মোহন অবস্থি বলেন, "অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মামলা দায়ের করেছি এবং সোসাইটির বাসিন্দাদের উপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছি।"