আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাগ্নের শেষকৃত্যে এসেই চরম পরিণতি মামার। পুরনো পারিবারিক ঝামেলার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি হল এক যুবকের। পরিবারের চোখের সামনে যুবককে খুন করল এক আত্মীয়। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা বাসিন্দারাও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাগ্নের শেষকৃত্যে এসেই এক যুবককে নির্মমভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক আত্মীয়র বিরুদ্ধে। যুবকের গলা কেটে খুন করেছে তারা। অতীতের পারিবারিক ঝামেলার কারণেই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক প্রমোদ সিং দোভাল জানিয়েছেন, এই খুনে মূল অভিযুক্ত রুরকির ওয়েস্ট আম্বার তালাব এলাকার বাসিন্দা নামান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে ২৫ বছর বয়সি কুণাল পুন্ডির নামের এক তরুণ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর ঘরেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। কিন্তু কী কারণে আগুন ঘরে ছড়িয়েছিল, তা অজানা ছিল পরিবারের।
ভাগ্নের মৃত্যুর খবর পেয়েই মামা ৪০ বছরের সোনু চৌহান বৃহস্পতিবার শেষকৃত্যে হাজির হয়েছিলেন। সোনু উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা ছিলেন। শেষকৃত্যের সময়েই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তখনই সোনুর জামাইবাবুর ভাই সর্বসমক্ষে তাঁর উপর হামলা করে। সোনুর গলা কেটে খুন করে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সোনুর। এই ঘটনার পর সোনুর দিদি গঙ্গানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরেই পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত নামান। বৃহস্পতিবারেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ জেরায় সে স্বীকার করেছে, পারিবারিক ঝামেলার কারণেই পু্রনো ক্ষোভ পুষে রেখেছিল সে। সুযোগ পেয়ে সেদিনই সোনুকে খুন করে। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সন্দেহের বশে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। বিয়ের পর থেকে নিত্যদিন অশান্তি। শেষমেশ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন যুবতী। বাপের বাড়ি এসেও বিপদ পিছু ছাড়ল না। একঘর আত্মীয়র সামনে যুবতীকে কুপিয়ে খুন করল তাঁর স্বামী। খুনের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘাতক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াহতে। পুলিশ সূত্রে খবর, দু'জনের ছয় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে সাত মাস আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন যুবতী। কিন্তু তারপরেও তাঁর প্রতি সন্দেহ কমেনি স্বামীর। ঘাতক যুবকের সন্দেহ ছিল, তার ভাগ্নের সঙ্গে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে সন্দেহের জেরেই অশান্তি এবং খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে।
মৃতার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আচমকা যুবতীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে যুবক। এরপর সকলের সামনেই তুমুল ঝামেলা হয় দুজনের। আচমকা ধারাল ছুরি বের করে যুবতীর উপর হামলা চালায় সে। একাধিকবার স্ত্রীর মাথায় এবং গলায় ছুরির কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ঘাতক যুবককে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
