আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঞ্জাবে ছোট্ট ট্রিপ। বন্ধুর থেকে ছোট সাহায্য। আর তাতেই কপাল খুলল রাজস্থানের এক যুবকের। পেশায় সবজি বিক্রেতা। সম্প্রতি লটারি কিনেই কোটিপতি হলেন তিনি। এক, দু'কোটি নয়, ১১ কোটি টাকা জিতলেন যুবক। ভাগ্যের চাকা যে এভাবে ঘুরবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুবকের নাম, অমিত সেহরা। ভাতিন্দার একটি ছোট্ট দোকান থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন তিনি। লটারির টিকিট কেনার জন্য বন্ধুর থেকে টাকা ধার করেছিলেন অমিত। সেই টিকিটেই 'পাঞ্জাব স্টেট লটারি- দিওয়ালি বাম্পার ২০২৫'-এ প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। ৩১ অক্টোবর লটারির রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১১ কোটি টাকা জিতেছেন অমিত। 

চোখে জল নিয়ে অমিত জানিয়েছেন, 'লটারির প্রথম পুরস্কার নেওয়ার জন্য চণ্ডীগড় যাওয়ার মতো টাকাও আমার পকেটে এখন নেই। এটা ভগবানের আশীর্বাদ। দু'হাত ভরে আমার অর্থকষ্ট দূর করলেন।' অমিত রাজস্থানের জয়পুরের কোতপুতলির বাসিন্দা। ঠেলায় করে সবজি বিক্রি করেন তিনি। 

১১ কোটি টাকা নিয়ে কী করবেন অমিত? তিনি জানিয়েছেন, দুই সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করবেন তিনি‌। লটারির টিকিট কেনার জন্য মুকেশ নামের যে বন্ধুর থেকে টাকা ধার করেছিলেন, তাঁকেও এক কোটি টাকা দেবেন‌‌। 

গত বছর অক্টোবরে বাংলার এক যুবকের এভাবেই কপাল খুলে যায়। স্ত্রীর দেওয়া সার কেনার ১০০ টাকা ভেঙে দুটি টিকিট কিনে কোটিপতি যুবক। কিন্তু  তাকেই এখন টিকিট সমেত পুলিশ ফাঁড়িতে কাটাতে হচ্ছে।জানা গেছে, আউশগ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা বামাচরণ মেটে। নিরাপত্তার জন্য তাঁকে তিনদিন ধরে থাকতে হচ্ছে আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়িতেই।

বামাচরণ মেটে জানান, ফসলে দেওয়ার জন্য সার কিনতে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন স্ত্রী। আর সেই ১০০ টাকায় বদলে গেছে তাঁর ভাগ্য। সারের দোকান বন্ধ থাকায় সেই টাকা থেকে ৬০ টাকা দিয়ে সোমবার সকালে দুটি টিকিট কাটেন বামাচরণ। তারপর দুপুরে খেতে বসে ফোনে টিকিট মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় রামচরণের। তাঁর যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। 

তিনি আরও জানান, 'দুই সিরিজের টিকিট কিনি। দাম পড়ে ষাট টাকা। অভাবের সংসারে এই টাকার দাম অনেক। তারপর ছাগল চড়াতে যাই। বাড়ি এসে খেতে বসে মিলিয়ে দেখি আমি ফার্স্ট প্রাইজ পেয়েছি!'

তবে লটারিতে কোটিপতি হয়েও শান্তি নাই তাঁর।নিরাপত্তার অভাবে ভুগছিলেন তিনি। তাই পুরস্কার জেতার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ভাইপোকে নিয়ে থানায় চলে আসেন। সেখানে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানান বামাচরণ। অনেকেই তাঁকে সাহায্য করেন। তাঁর আবেদনে সাড়া দেয় পুলিশ। আশ্রয় হয় ফাঁড়িতেই। এখনও টিকিট জমা করতে পারেননি বলে একটু চিন্তায় আছেন তিনি।

কিন্তু কী করবেন এত টাকা দিয়ে? বামাচরণ জানান, পঞ্চাশ লাখ টাকা এম আই এস করবেন। একটা বাড়ি করবেন। দু বিঘা জমি কেনারও ইচ্ছে আছে। তবে যাই করুন গ্রামেই থাকবেন। টাকা এসেছে বলেই শহরে গিয়ে বাস করতে চান না লক্ষ্মীর এই বরপুত্র।