আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গ দেয়। এই প্রবাদের জলজ্যান্ত উদাহরণ প্রয়াগরাজের বাসিন্দা নৌকা চালক পিন্টু মাহারা। ৪৫ বছরের এই প্রৌঢ় মহাকুম্ভে শুধু নৌকা চালিয়েই আয় করেছেন ৩০ কোটি টাকা! পিন্টুর সাফল্যের কাহিনী ফলাও করে বিধানসভায় বলেছেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
পেশায় নৌকা চালক পিন্টু ত্রিবেণী নদীর তীরে অবস্থিত প্রয়াগরাজের নৈনির আরাইল এলাকার বাসিন্দা। নৌকা চালানোই তাঁর পারিবারিক পেশা। দিনে কয়েক-শো আয় ককরেই সন্তুষ্ট থাকতে হত এই মাঝিকে। কিন্তু, মিলন উৎসব মহাকুম্ভ শুরুর আগে বড় সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলেন পিন্টু। স্থির করেন কুম্ভে নৌকা চালাবেন তিনি। বাড়তি বেশ কয়েয়টি নৌকাও লক্ষ লক্ষ টাকা ধার করে কিনে ফেলে সে। বাড়ির লোকেদের মত না থাকলেও পিছুপা হননি পিন্টু। আর তাঁর সেই সিন্ধান্তেই এখন এখন কোটিপতি মাঝি পিন্টু।
মহাকুম্ভ বহু মানুষের রুজি রুটির সংস্থান করেছে। বেড়েছে রোজগার। বিধানসভায় এসব নিয়ে বলতে গিয়েই ৪ঠা মার্চ পিন্দু মাহারার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানান যে, একজন নৌকাচালক এবং তাঁর পরিবার মাত্র ৪৫ দিনে ৩০ কোটি টাকা আয় করেছেন। নৌকাচালক ১৩০টি নৌকার মালিক ছিলেন, প্রতিটি নৌকা থেকে গড়ে ২৩ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে।
যোগীর কথায়, পিন্টু মাহারা মহাকুম্ভের আগে ৭০টি নৌকা কিনেছিলেন। প্রতিটি নৌকার দাম ছিল ৮০,০০০ টাকা, যার জন্য তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তাই, তাঁকে পরিবারের মহিলাদের গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল। এমনকি পরিবারের জমি-ও বন্ধক রাখতে হয়। পরিবারের মহিলারা গয়না বিক্রি করার পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন, কিন্তু তাতে পিন্টুর সিদ্ধান্ত বদলায়নি।
একটা সিদ্ধান্তই পিন্টুর জীবন বদলে দিয়েছে। মহাকুম্ভে বিপুল পর্যটকদের ভিড় সামলাতে তাঁর কোনও নৌকা ফাঁকা যায়নি। প্রতিদিন তার প্রতিটি নৌকা ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা উপার্জন করত। অর্থাৎ ৪৫ দিনে এক একটি ২৩ লক্ষ টাকা করে উপার্জন করেছে। মহাকুম্ভের এই কয়েক দিনে পিন্টু এত অর্থ উপার্জন করেছেন যে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতও সুরক্ষিত হয়েছে।
