আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ওমর আবদুল্লাহ। দীর্ঘ ছয় বছর পর রাষ্ট্রপতি শাসন মুক্ত হতে চলেছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ শপথ নেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লাহ।
নতুন এই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তর্বর্তী নেতা প্রকাশ কারাত, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) কার্যনির্বাহী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে, দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম (ডিএমকে) -এর ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি কানিমোঝি সহ ভারত ব্লকের নেতারা। এছাড়াও সিপিআই(এম) এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবারই শ্রীনগরে পৌঁছেছেন।
১০ বছর পর অক্টোবরে বিধানসভা নির্বাচন হয় কাশ্মীরে। তার ফলাফল বেরোতে দেখা যায় ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর পুত্র ওমরের দল এনসি জিতেছে ৪২টিতে। সহযোগী কংগ্রেস ছয় এবং সিপিএম একটিতে। অন্য দিকে, বিজেপি ২৯, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিপল্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) তিনটি আসনে জিতেছে। প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোনের পিপল্স কনফারেন্স এবং আম আদমি পার্টি (আপ) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। নির্দল প্রার্থীরা সাতটিতে। অর্থ্যাৎ ন্যাশনাল কনফারেন্স আর কংগ্রেস জোট জয়ী হয়েছে। জোটের নেতা নির্বাচিত হন ওমর আবদুল্লাহ। এরপরই নির্বাচিত জোট বিধায়কদের স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান ওমর।
এরপরই কেন্দ্রের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, ২০১৯ এর অনুচ্ছেদে ৭৩ অনুসারে এবং ভারতীয় সংবিধানের ২৩৯ এবং ২৩৯ এ অনুচ্ছেদ অনুসারে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। ওই বছরই ৩১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল (জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে) ঘোষণা করা হয়।
