আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই ঢোক গিলল অসম সরকার? মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিস্ব শর্মা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে, অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে ধৃত অমুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর আগে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, অসম সরকার নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) মোতাবেক, ২০১৫ সালের আগে রাজ্যে প্রবেশকারী ছয়টি সম্প্রদায় - হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পার্সি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিদেশি ট্রাইব্যুনালের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে হিমন্ত বলেন,"সিএএ-তে ইতিমধ্যে যা রয়েছে, তার বাইরে রাজ্য সরকার কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। যদি মন্ত্রিসভায় এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে, আমি তা সব সময় আপনাদের জানাব। কোনও বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।" 

খবরে কি রটেছিল?
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। পিটিআইয়ের হাতে আসে অসম সরকারের একটি নির্দেশিকা। গত ২২ জুলাই অসমের সব জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো ওই নির্দেশিকায়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বিদেশি তকমা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল।। ওই নির্দেশিকায় সাক্ষর ছিল অসমের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) অজয় তিওয়ারির। এছাড়া ওই নির্দেশিকায়, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) অনুসারে বিদেশিদের এ দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতেও উৎসাহিত করতে বলা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন-  স্বামীকে সায়েস্তা করতে বেনজির কৌশল স্ত্রীর, নিজেই গেলেন পুলিশে! তার পরই ঘটনায় নয়া মোড়

এরপরই 'অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন' (এএএসইউ) শুক্রবার বিক্ষোভের ডাক দেয়। দাবি করে যে- বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার অসম চুক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, এক নির্দেশিকায় অসমের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের কাট-অফ রয়েছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের লক্ষ্য হল বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা (মুসলিম ব্যাতীত) ছয়টি সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদান করা, এই শর্তে যে তারা ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করেছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের মধ্যে এ দেশে প্রবেশ করেছেন।

অসমের বিদেশি ট্রাইব্যুনালগুলি আধা-বিচারিক সংস্থা যা বংশ এবং ১৯৭১ সালের কাট-অফ তারিখের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের বিষয়ে বিচার করে।
এখন পর্যন্ত বিদেশি ঘোষিত প্রায় ১.৬ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৬৯,৫০০ জনেরও বেশি হিন্দু।