আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি নেপালে। বর্তমানে ভারতের পড়শি দেশের শাসনভার সেনার দখলে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। বুধবার সকাল থেকে নেপালে বড় ধরনের কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। নেপালের বাঁকে জেলার সংশোধনাগারের সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্য দিকে, আনুষ্ঠানিক ভাবে নেপালের দায়িত্ব নিল সে দেশের সেনাবাহিনী। বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, যত দিন পর্যন্ত না নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তত দিন দেশের শাসনভার চালাবে তারা। শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে সেনার তরফে। বুধবার সে দেশের বিক্ষোভকারী জেন-জি-রা জানিয়েছেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তাঁরা চান সুশীলাকে।
নেপালে আটকে বহু ভারতীয়। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নেপালে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনবে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো। সূত্রের খবর, বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, নেপালের রাজধানীতে আটকে পড়া মানুষদের ফিরিয়ে আনতে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো কাঠমান্ডুতে অতিরিক্ত বিমান পরিচালনা করবে। মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন, বিমান সংস্থাগুলিকে তাদের ভাড়া যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে, নেপালের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য তারা আজ এবং আগামিকাল দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু এবং ফিরে আসার জন্য বিশেষ বিমান পাঠাবে। এক্স হ্যান্ডেলে এয়ার ইন্ডিয়া পোস্ট করে জানিয়েছে, 'নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য এয়ার ইন্ডিয়া আজ এবং আগামিকাল দিল্লি থেকে কাঠমাণ্ডু এবং ফিরে আসার জন্য বিশেষ বিমান পরিচালনা করছে। আমাদের নির্ধারিত কার্যক্রম আগামিকাল থেকে আবার শুরু হবে। আমাদের যাত্রীদের স্বার্থে এটি সহজতর করার জন্য দ্রুত সমন্বয়ের জন্য আমরা সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ জানাই।'
IMPORTANT UPDATE:
— Air India (@airindia)
Air India is operating special flights today and tomorrow from Delhi to Kathmandu and back to help passengers who have been stranded due to the recent developments in Nepal. Our scheduled operations will also resume from tomorrow.
We thank the government and…Tweet by @airindia
পোস্টেই আরও বলা হয়েছে, 'বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে যাত্রীদের তাঁদের বিমানের অবস্থা https://airindia.com/in/en/manage/flight-status.html-তে পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আরও সহায়তার জন্য, অনুগ্রহ করে আমাদের 24×7 কল সেন্টারে 011-69329333 / 011-69329999 নম্বরে যোগাযোগ করুন।' নেপালে অস্থিরতার পরে, কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু হয়েছে।
ছাত্র-যুব আন্দোলনে সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় নেপালে। কাঠমান্ডু থেকে বিদ্রোহের সূত্রপাত হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে নেপাল জুড়ে। হাজার হাজার বিদ্রোহী নেমে পড়েন রাস্তায়। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের আগুনের আঁচে পুড়তে থাকে নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, ওলি এবং তাঁর মন্ত্রীদের বাসভবন।
