মঙ্গলবার রাজ্যসভায: 'বন্দে মাতরম' বিতর্ক চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায়ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতকে "টুকড়ে, টুকড়ে" করার অভিযোগ তুললেন। পরে কংগ্রেস নেতা জওহরলালের বিরুদ্ধে দেশকে বিভক্ত করার অভিযোগ আনেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, কংগ্রেস দেশের দমবন্ধকর অবস্থার জন্য দায়ী এবং যাঁরা 'বন্দে মাতরম' স্লোগান দিয়েছিলেন তাঁদের জেলে পাঠানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে লোকসভায় সোমবারের আলোচনায় অনুপস্থিত থাকার জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকেও. অমিত শাহ আক্রমণ করেন।

জাতীয় সঙ্গীতের ১৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় সংসদ 'বন্দে মাতরম'-এর উপর আলোচনা চলছে। সোমবার লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 'বন্দে মাতরম'-এর ১৫০তম বার্ষিকী আলোচনায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। তারা বারবার জাতীয় সঙ্গীতের অপমান এবং আপস করার অভিযোগ তোলেন।

সোমবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, "এই গানটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন পূরণে অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের জাতিকে আত্মনির্ভরশীল এবং উন্নত করার সংকল্প আমাদের পুনর্ব্যক্ত করতে হবে।" প্রধানমন্ত্রীর কথায়, "বন্দে মাতরম একটি মন্ত্র, একটি স্লোগান যা স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি, অনুপ্রেরণা এবং ত্যাগ ও তপস্যার পথ দেখিয়েছে।"

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় 'বন্দে মাতরম' আলোচনার সূত্রপাত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন যে, 'বন্দে মাতরম' কেবল বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় এবং এই সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। 


'বন্দে মাতরম'কে বাংলায় ভোটের ইস্যু করা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন সোমবারই তুলেছিলেন প্রিয়াহ্কা গান্ধী।অমিত শাহ রাজ্যসবায় এ দিন সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন যে, বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জির যদিও রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন, তবে তাঁর লেখা গান 'বন্দে মাতরম' কখনও বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

অমিত শাহ বলেন, "আজও, যখন একজন সৈনিক সীমান্তে আত্মত্যাগ করেন, তখন তাঁর ঠোঁটে থাকে বন্দে মাতরম। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এটি একটি সমবেত স্লোগান হয়ে উঠেছিল এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে রয়ে গিয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষে এই আলোচনার মাধ্যমে, শিশু এবং তরুণরা, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম-সহ, 'বন্দে মাতরম'-এর স্থায়ী গুরুত্ব আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে।" 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন যে, লোকসভার সদস্যরা 'বন্দে মাতরম'- এর উপর আলোচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে, 'বন্দে মাতরম'-এর প্রাসঙ্গিকতা অতীতেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। শাহ-য়ের কথায়, "যারা এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না, তাঁদের আত্মসমালোচনা করা উচিত"