আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হাড়-হিম কাণ্ড। শৌচাগারের ভেতর থেকে উদ্ধার হল একজন কর্তব্যরত নার্সের দেহ। ওই নার্সের হাতে সূচ ফোটানো ছিল বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়েই অনেক প্রশ্ন। রাখিতে মেয়েটির বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

মৃতার ভাই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, পুলিশ সন্দেহ করছে যে- সূচের মাদ্যমে কোনও বিষাক্ত কিছু নার্সের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এই মৃত্যু ঘটেছে। যদিও মৃতার পরিবার এই মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেন মৃতদেহ উদ্ধারের দু'ঘন্টা বাদ পরিবারকে খবর দিল হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রয়াত নার্সের ভাইয়ের কথায়, "প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছিল যে, দিদিকে বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এখন পুলিশ বলছে যে, ওরা দিদির হাতে একটি সিরিঞ্জের চিহ্ন পেয়েছে, ফলে বিষয়টি আত্মহত্যাও হতে পারে। কিন্তু, আমি দিদির ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে এমন কোনও ঝামেলা সম্পর্কে অবগত নই যা ওকে এত কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য করতে পারে।"

নার্সের ভাইয়ের দাবি যে, সম্প্রতি ফোনে দিদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। নার্স জানিয়েছিলেন যে, ডিউটির শেষে তিনি রাখিবন্ধন উদযাপন করতে গঞ্জাম জেলায় নিজের বাড়িতে ফিরবেন।

পুলিশ দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, স্বাস্থ্যগত জটিলতা, সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন এবং পারিবারিক সমস্যা-সহ বিভিন্ন দিক থেকে মৃত্যুর তদন্ত করছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

হাসপাতাল জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

৩০শে মে রিপোর্ট করা একই রকম একটি ঘটনায়, কটকে একজন নার্সকে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।

আরও পড়ুন- টলতে টলতে ডিউটি, রোগীদের কাছে যেতে নাকে এল উৎকট গন্ধ, সরকারি হাসপাতালে দুই নার্সের কীর্তিতে তোলপাড়

আরও পড়ুন- স্ত্রীর পোশাক-রান্না নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিষ্ঠুরতা নয়, ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে বলল বম্বে হাইকোর্ট...