আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বাড়িতে পড়ে রয়েছে মা, বাবা ও বোনের মৃতদেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। মর্নিং ওয়াক থেকে বাড়ি ফিরে এমনই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিল যুবক। বুধবার সকালে নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে দিল্লির নেব সরাই এলাকায়। মৃতেরা হলেন রাজেশ কুমার (৫১), তাঁর স্ত্রী কমল (৪৬), মেয়ে কবিতা (২৩)। ঘরের মধ্যে পরপর তিনটি মৃতদেহ দেখেই পুলিশে খবর দেন যুবক। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। 


সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজেশ ও কমলের ছেলে অর্জুন (‌২০)‌ মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিল। বাড়ি ফিরে এই ঘটনা দেখে চমকে যায় সে। কিন্তু তখন জানা যায়নি, খুনি কে?‌ তদন্তে পুলিশ যা জানতে পারল তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। খুনি আর কেউ নয়, স্বয়ং অর্জুন।


পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কথা নিজের কাকাকেও জানিয়েছিল যুবক। তদন্তে জানা গেছে, ঘুমের মধ্যেই মা, বাবা ও বোনকে খুন করেছিল অর্জুন। কারণ হিসেবে অভিযুক্ত জানিয়েছে, বাবা নাকি প্রতিনিয়ত তাঁকে অপমান করত। এমনকী যুবকের সন্দেহ হয়েছিল সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্ছিত করা হতে পারে। এবং সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দেওয়া হতে পারে বোনকে। তাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে যুবক।


পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে যুবক। মা–বাবার বিবাহবার্ষিকীর দিনটাই খুনের জন্য বেছে নিয়েছিল সে। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে বাইরের কেউ বাড়ির ভিতর ঢোকেনি। এমনকী জোর করে বাড়িতে ঢোকারও কোনও চিহ্ন পায়নি পুলিশ। এমনকী কিছু চুরিও যায়নি। এরপরই যাবতীয় সন্দেহ গিয়ে পড়ে অর্জুনের উপর। অপরাধ স্বীকারও করেছে সে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।


কলেজ পড়ুয়া অর্জুনের এই কাণ্ডে প্রতিবেশীরা থেকে পুলিশও অবাক। জানা গেছে সম্প্রতি প্রতিবেশীদের সামনে অর্জুনকে হেনস্থা করেছিল বাবা রাজেশ। এরপরই পরিবারের বাকিদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে সে।