আজকাল ওয়েবডেস্ক: উধমপুর। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেখানে। নিকটবর্তী বনাঞ্চল ঘিরে ফেলে, শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঠিক কী ঘটেছে? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলার একটি গ্রামে আচমকা জঙ্গিরা গেরস্থের ঘরে ঢুকে খাবার নিয়ে নিকটবর্তী বনের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই, শুরু হয়েছে চিরুণি তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে সাড়ে ছ'টার দিকে, চোরে মোতু গ্রামের মাতুং রামের বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা উপস্থিত হয়। তাঁরা কিছু বলার আগেই, খাবার চায় এবং সেসব নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পাওয়ার পরেই, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। তবে, প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয়। রবিবার ভোর থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হলেও, খোঁজ মেলেনি এখনও।
দিনকয়েক আগে, ১৫ ডিসেম্বর, উধমপুরেই, এই গ্রাম থেকে কিছু ডুরে, জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় এক পুলিশকর্মীর। সেখান থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, এই গ্রামে, বাড়িতে ঢুকে খাবার নিয়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা, লাইন অফ কন্ট্রোল-এ এখনও রয়েছে প্রায় ৬৯টি সক্রিয় জঙ্গি ঘাঁটি। সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার সেখানেই ওঁত পেতে রয়েছে ১০০-১২০ জন জঙ্গি। বিষয়টি কড়া নজরে রেখেছে বিএসএফ। ৩৪৩ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনার সঙ্গে যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ-এর কাশ্মীর ফ্রন্টিয়ার ইনস্পেক্টর জেনারেল অশোক যাদব।
বিএসএফ-এর কাশ্মীর ফ্রন্টিয়ার আইজি জানিয়েছেন, চলতি বছরেই বিএসএফ ও সেনা যৌথভাবে চারবার জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। সেই অভিযানে মোট আট জন জঙ্গি নিহত হয়েছিল। এটি ছিল 'অপারেশন সিঁদুর'-এর অংশ। যা বিএসএফ-এর এই বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সেই অভিযানে ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ পাকিস্তানের পোস্ট এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে সঠিক ও শক্তিশালী আক্রমণ চালিয়েছিল। এর ফলে অনেক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু ঘাঁটি সক্রিয় রয়েছে। এক বিএসএফ কর্তা জানিয়েছেন, লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফ ও সেনা যৌথভাবে সব ধরনের হুমকির মোকাবিলা করছে।
