আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার দুপুর তখন একটা হবে। এক যুবতী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আচমকা তাঁকে দেখেই রেরে করে উঠলেন এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। শুরু করে গালিগালাজ, কটুক্তি। তারপর বেশ কয়েকজনকে ইশারা করে ডাকেন তিনি। সেই ইশারায় নিমেষে হাজির কয়েকজন। ওই ২৫ বছরের মহিলাকে দড়ি দিয়ে একটি নিম গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন তারা। যা দেখে তাজ্জব সকলে। কেন ওই মহিলার এমন পরিণতি হল?
জানা গিয়েছে, চিত্তুর জেলার কুপ্পম মণ্ডলের নারায়ণপুরম গ্রামে একদা স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন থিম্মারায়প্পা। তিন বছর আগে সে এলাকারই মহাজন মুনিকান্নাপ্পার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তবে শোধ করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত থিম্মারায়প্পা ও তাঁর স্ত্রী সিরিশা সন্তানদের নিয়ে তাদের সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র তাকতে শুরু করেন।
স্বামীর করা ধার মেটাতে এখন কাজ করেন থিম্মারায়প্পার স্ত্রী সিরিশা। মহাজনের ৮০ হাজার টাকার মধ্যে বেশ কিছুটা মিটিয়েওছেন।
Shocking ! In CM #ChandrababuNaidu's own constituency Kuppam an alleged #TDP worker tied a 25-year-old woman to a tree and publicly humiliated her over an unpaid loan of ₹80,000. Victim Sirisha has been raising her two children on her own since her husband abandoned them. After… pic.twitter.com/UI0Xft63Lh
— Ashish (@KP_Aashish)Tweet by @KP_Aashish
সোমবার ওই দম্পতির ছেলের রেজাল্ট বেরিয়েছিল। ফলে পুরনো গ্রামের মধ্যে দিয়ে ছেলের স্কুলে যাচ্ছিলেন সিরিশা। সেই সময়েই তাঁকে মহাজন মুনিকান্নাপ্পা দেখতে পান। তারপরই মহিলাকে গালিগালাজ করেন। এরপর তাঁর দলবল একটি নিম গাছের নীচে সিরিশাকে টেনে নিয়ে যায়। ওই গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় সিরিশাকে। ঋণ পরিশোধ না করলে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেয় মহাজন মুনিকান্নাপ্পা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করার চেষ্টা করলে, মুনিকান্নাপ্পা তাদের উপরও চড়াও হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় এবং কুপ্পাম পুলিশ অভিযুক্ত মহাজন মুনিকান্নাপ্পাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু এই হামলার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। অভিযুক্তকেগ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নাইডু পুলিশকে নির্দেশ দেন। তিনি জেলা কর্তাদের পাশে থাকার এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদানের পরামর্শ দেন।
