আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহুমূল্যের পোষা ম্যাকাও উদ্ধার করতে গিয়েই বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল মালিকের। অসাবধানতাবশত ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু এক যুবকের। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম, অরুণ কুমার (৩২)। তিনি বেঙ্গালুরুর গিরিনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বহুমূল্যের পোষা ম্যাকাওকে উদ্ধার করতে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে তাঁর। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অরুণের। 

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, পোষা ম্যাকাওয়ের দাম ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। গতবছর ওই পাখিটি কিনেছিলেন তিনি। শুক্রবার হঠাৎ বাড়ি থেকে উড়ে অদূরেই এক বিদ্যুতের খুঁটিতে বসেছিল পাখিটি। পোষ্য পাখিটিকে উদ্ধার করতে গিয়েই হাইটেনশন বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে গিয়েছিলেন অরুণ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। 

 

জানা গেছে, একটি স্টিলের পাইপ দিয়ে পোষা পাখিটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন অরুণ। সেই স্টিলের পাইপটি অসাবধানতাবশত হাইটেনশন তারের সংস্পর্শে চলে আসে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচিল থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যান অরুণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই পোষা ম্যাকাওটিও উদ্ধার করে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। 

 

গত জুলাই মাসে এমন আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। বাড়ির সামনেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল আট বছরের নাবালক। খেলতে খেলতেই মর্মান্তিক পরিণতি।‌ বল কুড়োতে গিয়ে ঝলসে যায় সে। বাড়ির সামনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নাবালক। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতির অভিযোগে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। 

 

জানা গেছে, বাড়ির সামনেই বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল ওই নাবালক। একটি বল ছিটকে পড়ে ট্রান্সফরমারের কাছে। সেখান থেকেই বলটি কুড়োতে গিয়েছিল সে। সেই ট্রান্সফরমারে হাত পড়তেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাবালক। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে।‌ রবিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিকেট খেলার সময়েই মর্মান্তিক পরিণতি হয় নাবালকের। ক্রিকেট বল কুড়োতে গিয়ে বাড়ির পাশেই ট্রান্সফরমারে হাত পড়ে যায় তার। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা ও নাবালকের মামা ছুটে আসেন। তাঁরাই দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রান্সফরমারের ক্রুটির কারণে গত কয়েক মাসে একাধিকবার বিদ্যুৎ দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও সমাধান হয়নি। দু'বছর ধরে ট্রান্সফরমারের গেটটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। অতীতে এই ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে এসে ১৪টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। 

 

নাবালকের বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনাটি জানিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছিল। নাবালককে সেখান থেকে বের করে আনার পরে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখনও পর্যন্ত বারবার অভিযোগ জানিয়েও, ট্রান্সফরমারের ক্রুটির সমাধান করেননি কেউ। এদিকে ঘটনাটি ঘিরে থানাতেও কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি মৃত নাবালকের পরিবার।‌