আজকাল ওয়েবডেস্ক: পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল মহাকুম্ভে। মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ মৌনী অমাবস্যায় গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিবেণীতে 'অমৃত স্নান' সারতে হুড়োহুড়ির সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত শতাধিক। আহতদের মেলাপ্রাঙ্গনের হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে কোটি কোটি মানুষের ভিড় হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকেই সঙ্গমস্থলে শাহি স্নান সারতে দূরদূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। বুধবার সকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অতিরিক্ত ভিড়ে আচমকা ধাক্কাধাক্কি শুরু হওয়ায় ভিড়ের মধ্যে আটকে পড়েন অনেকে। এরপরেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। আহতদের মেলাপ্রাঙ্গনের হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃত অবস্থাতেই অনেককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে। ঘটনাস্থলে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ। পদপিষ্টের ঘটনার পরই মৌনী অমাবস্যায় ‘শাহি স্নান’ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধুদের আখড়াগুলি।

পদপিষ্টের ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফোনে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে র‌্যাফ নামানো হয়েছে। একই সঙ্গে পৌঁছেছে এনএসজি-র দলও।

উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছিল, প্রায় ১০ কোটি পূণ্যার্থী মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নান সারতে হাজির হতে পারেন মহাকুম্ভে। সেই অনুযায়ী, নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছিল। তারপরেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না। গত ১৭ দিনে মহাকুম্ভ মেলায় ইতিমধ্যেই ১৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী সঙ্গম এবং ঘাটে পবিত্র স্নান সেরেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র মঙ্গলবারেই ৪.৮ কোটিরও বেশি ভক্ত স্নান করেছেন। মকর সংক্রান্তির অমৃত স্নানে সেই সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩ কোটি।