আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় ২৬ বছর বয়সী এক যুবক ইনস্টাগ্রামে লাইভ স্ট্রিমিং করার সময় আত্মহত্যা করেছেন। ওই সাইভ স্ট্রিমিং দেখছিলেন মৃতের স্ত্রী। তবে ঘটনাটি দেখেও মৃতের স্ত্রী সাহায্য না চেয়ে ৪৪ মিনিট ধরে নীরবে তাকিয়ে ছিলেন। এই ঘটনার পর মৃতের স্ত্রী প্রিয়া শর্মা এবং তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত শিব প্রকাশ ত্রিপাঠির বিগত কয়েক মাস ধরেই বৈবাহিক সমস্যা চলছিল। এই কঠোর পদক্ষেপ করারর আগেও শিব প্রকাশ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকার একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

শিব প্রকাশ ত্রিপাঠি দু'বছর আগে প্রিয়া শর্মাকে বিয়ে করেছিলেন। প্রথমে তাঁদের সম্পর্ক ভালো ছিল। তবে কয়েক মাস পেরোতেই শিব জানতে পারেন যে,  তাঁর স্ত্রী প্রিয়ার পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই বিষয়টি অবশ্য অন্যদের জানাননি শিব প্রকাশ এবং বিবাহ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন।

শিব প্রকাশ ত্রিপাঠি পরে একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ফলে তিনি ক্রাচের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই সময়ে, প্রিয়া তাঁদের নবজাতক সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যান। তবে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শিব প্রকাশ বেশ কয়েকবার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রী ফিরতে চাননি। এমনকি তাঁকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ।

ঘটনার দিন, শিব প্রকাশ ত্রিপাঠি আবার স্ত্রী প্রিয়া শর্মাকে বোঝাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অপমান এবং মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। হতাশায় শিব প্রকাশ বাড়ি ফিরে একটি ঘরে নিজেকে আটকে রাখেন। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি লাইভ ভিডিও শুরু করেন এবং গলায় ফাঁস দেন। প্রিয়া সেই লাইভ স্ট্রিমিং ৪৪ মিনিট ধরে দেখেন কিন্তু কাউকে কিছু জানাননি।

পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পেরে ভিডিওটি দেখে পুলিশকে সব জানায়। সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার উমেশ প্রজাপতি বলেন, "তদন্তে প্রিয়া শর্মার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পারিবারিক বিরোধ আত্মহত্যার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।" প্রিয়া শর্মা এবং তাঁর মাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য শিব প্রকাশ ত্রিপাঠীর ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।