আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৬ বছরের মেয়েকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ এবং নিজের সদ্যোজাতদের ঝোপেঝাড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের খার্গন জেলায়। এমনই জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে। চলতি সপ্তাহেই প্রথম বিষয়টি সামনে আসে। মহেশ্বর থানার অন্তর্গত এলাকায় এক ঝোপের মধ্যে প্রথম এক সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়। ছোট্ট শিশুটির শরীর ভর্তি ছিল পিঁপড়ের কামড়। এই ঘটনা সামনে আসতেই তদন্তে নামে পুলিশ।

মহেশ্বর থানার এরিয়া পুলিশ অফিসার জগদীশ দয়াল সাংবাদিকদের এই ঘটনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে প্রথমেই প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তারপর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয় জেলা হাসপাতালে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৯৩ নম্বর ধারায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এসপি ধরমরাজ মিনা জানান, ওই সদ্যোজাতর মা এক ১৬ বছরের কিশোরী। গোপন সূত্রে এই তথ্য পুলিশের কাছে আসতেই তদন্ত জোরদার করে পুলিশ। জানা যায়, এক ক্লিনিকে ওই কিশোরীকে ভর্তি রাখা হয়েছে। ওই কিশোরীকে জেরা করতেই সামনে আসে সত্যি ঘটনা। কিশোরী জানায়, তার বাবার সঙ্গে সে গুজরাটের রাজকোটে শ্রমিকের কাজ করত।

আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে আচমকাই অসুস্থ ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ, ভর্তি করা হল হাসপাতালে

সেখানেই তার নিজের বাবা তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লেও ওই কিশোরীর বাবা তাকে বাড়িতেই রেখে দিয়েছিল। বাড়িতেই শিশুর জন্ম দেয় ওই কিশোরী। কিন্তু তারপরে জ্ঞান হারালে তার বাবা ওই সদ্যোজাতকে ঝোপে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানান এসপি। তিনি আরও জানান, ওই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই সদ্যোজাত এবং কিশোরীর ডিএনএ সংগ্রহ করে যাবতীয় পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই সদ্যোজাতকে প্রাথমিক ভাবে খার্গোনেই চিকিৎসা করা হয়।

পরবর্তীকালে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ইন্দোরের MTH হাসপাতালে। তাকে আপাতত পেডিয়াট্রিক ইউনিটে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পুনেতে ১৬ বছরের নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।  নাবালিকা জানিয়েছে তাঁর প্রেমিক তাঁকে তাঁদেরই এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডাকে তাঁকে। অভিযোগ সেখানে খাবারের মধ্যে মাদক মিশিয়ে নাবালিকাকে খাওয়ানো হয়। খাবার খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়লে নাবালিকাকে বেডরুমে নিয়ে যায় তাঁর প্রেমিক।