আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবারও ডিজিটালি জালিয়াতির শিকার এক মহিলা। প্রতারকদের এক নতুন পন্থা হয়েছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট। এবার শিকার লখনউ এর এক মহিলা। এই ফাঁদে পড়ে খুঁইয়েছেন এক লাখ টাকারও বেশি। 

 

 

 

লখনউ এর আলমবাগ এলাকার বাসিন্দা একতা চতুর্বেদী। গত ১৮ অক্টোবর একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন মহিলা। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে পরিচয় দেওয়া হয়, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) এর একজন আধিকারিক কথা বলছেন বলে। এরপর ওই লোক দাবি করেন, চতুর্বেদীর দুটি ফোন নম্বর তাঁর আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র একটি নম্বর ব্যবহার করছেন। এই জন্য কলটি মুম্বই পুলিশ হেড অফিসে স্থানান্তরিত করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। এরপর আরেকজন নিজেকে মুম্বই পুলিশ অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন, মহিলাকে বলেন, দ্বিতীয় মোবাইল নম্বরটি অর্থ পাচার করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

 

 

এর জন্য তাঁকে ডিজিটালি গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই বলে দুই ঘণ্টা গ্রেফতারে রাখে। এর মধ্যে ওই মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১.২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ফোন বন্ধ করে দেয়। শেষপর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। লখনউ এর ডিসিপি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই দোষীদের ধরা যাবে। 

 

 

 

এর আগে অগস্ট মাসে, লখনউতে একজন মহিলা ডাক্তার একইভাবে ফাঁদে পড়েছিলেন এবং ২.৮১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল তাঁর। 

 

 

 

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ডিজিটাল গ্রেফতার কেলেঙ্কারির অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হল। এরপর সাইবার প্রতারণা বুঝতে পারলে ১৯৩০ ডায়াল করবেন। 

 

 

 

জানা গিয়েছে, এই বছর এ পর্যন্ত ছয় হাজারটিরও বেশি ডিজিটাল গ্রেপ্তারের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগ বলছে এই ক্রাইমের জন্য এখনও পর্যন্ত অন্তত ছয় লাখ মোবাইল নম্বর ব্লক করা হয়েছে।