আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রের বড় উদ্যোগ। অমৃত ভারত স্কিমের আওতায় ৬৫০টি স্টেশন রি–ডেভেলপমেন্টের কাজ হবে, জানা গিয়েছিল আগেই। লক্ষ্য, রেল এবং স্টেশনের বিপুল উন্নয়ন। বৃহস্পতিবার, ১০৩টি স্টেশনকে ‘অমৃত ভারত’ স্কিমের আওতায় সাজিয়ে উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার তিনটি স্টেশন।

কোন তিন স্টেশন? - দক্ষিণ–পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের জয়চণ্ডী পাহাড়, পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের পানাগড় এবং শিয়ালদহ ডিভিশনের কল্যাণী ঘোষপাড়া।

প্রশ্ন, অমৃত ভারত-এর আওতায়, এই স্টেশনগুলিতে কী কী সুবিধা মিলবে?

প্রথমেই বলা যাক, এই অমৃত ভারত প্রকল্প কী? প্রত্যেক স্টেশনকে ওই জায়গার প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে সাজানো হবে। প্ল্যাটফর্মের আধুনিকীকরণ, উন্নত আলোর ব্যবস্থা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য নানা ধরনের উন্নত সুবিধা-সহ একগুচ্ছ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হবে।

পানাগড়ের স্টেশনের জন্য আনুমানিক ৫.৫ কোটি টাকা,   জয়চণ্ডী পাহাড়ের জন্য আনুমানিক ১১.৪৩ কোটি টাকা, কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের জন্য আনুমানিক  ৩.৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

কী কী সুবিধা থাকবে এতে-

পরিষ্কার প্ল্যাটফর্ম এবং উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ করা শৌচাগার।

উন্নত আসন সহ আধুনিকীকরণ করা অপেক্ষা কক্ষ অর্থাৎ ওয়েটিং হল।

স্টেশনের প্রবেশ এবং প্রস্থান দ্বারের উন্নতীকরণ ঘটানো।

লিফট, এসকেলেটর এবং বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই স্থাপন।

স্পষ্টভাবে চিহ্নিত সাইনবোর্ড এবং উন্নত তথ্য ব্যবস্থা।

বাস এবং মেট্রোর মতো স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে একীকরণ।

বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য থাকবে একগুচ্ছ ব্যবস্থা-

প্রবেশপথের র‍্যাম্প এবং নির্দিষ্ট প্রবেশযোগ্য পার্কিং স্পেস।

কম উচ্চতার টিকিট কাউন্টার এবং সহায়তা বুথ থাকবে স্টেশনগুলিতে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল সাইনেজ-সহ একাধিক ব্যবস্থা।