আজকাল ওয়েবডেস্ক: গর্ভবতী যুবতী। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেছে নিয়েছেন মৃত্যুকে, অভিযোগ তেমনটাই। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে খবর তেমনটাই।
ঠিক কী ঘটেছে? তথ্য, মঙ্গলবার ত্রিশুরে নিজের স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন ২৩ বছর বয়সী এক গর্ভবতী মহিলা। তিনি এক সন্তানের মা। তাঁর এক ছেলে রয়েছে। তার পরেই দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন ওই যুবতী। সূত্রের খবর, মৃত্যুর আগে ওই যুবতী তাঁর মা’ কে বেশকিছু মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। তাতে তিনি পরতে পরতে উল্লেখ করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা।
ভেলাঙ্গুলারের বাসিন্দা নওফালের স্ত্রী ফসিলাকে ২৯শে জুলাই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধারের একদিন পর, তাঁর স্বামী নওফাল এবং শাশুড়ি রমলাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে বারেবারে অভিযোগ করা হয়েছে, ক্রমাগত শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, যুবতী চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সূত্রের খবর, যুবতী তাঁর মা’ কে অভিযোগ জানিয়ে মেসেজে লিখেছিলেন, তিনি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার পরেও তাঁর স্বামী একাধিকবার তাঁর উপর অত্যাচার চালান। তাঁর পেটে লাথি মারেন। অভিযোগ শাশুড়ির দিকেও। অভিযোগ, স্বামীর মা, একাধিকবার ওই যুবতীর উপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়েছেন।
ত্রিশুরের সরকারি মেডিকেল কলেজে ওই যুবতীর ময়নাতদন্তের পর, দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে যুবতীর চরম পদক্ষেপ গ্রহণের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে উঠে এসেছে একাধিকবার। কোল্লামের বাসিন্দা বিপঞ্চিকা মানি (৩৩), অভিযোগ ওঠে, ৮ জুলাই শারজার আল নাহদা পাড়ায় তাদের অ্যাপার্টমেন্টে আত্মহত্যা করার আগে তার দেড় বছরের মেয়ে বৈভবীকে হত্যা করেন তিনি। কিন্তু আত্মহত্যার আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছিলেন। চরম পদক্ষেপ গ্রহণের আগে মানি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে অভিযোগ করেন, তাঁকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, ‘আমি চুপচাপ তাদের হয়রানি সহ্য করতাম। তারা বলত যে বিয়ে যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না, যৌতুক যথেষ্ট ছিল না এবং আমার বাবা গাড়িও দেয়নি। তারা আমাকে গৃহহীন বলে ডাকত, বলত আমি ভিক্ষা করে জীবন যাপন করেছি। এক একটা সময়ে আমি আর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সম্পুর্ণ ভেঙে পড়তাম। যদিও তাদের যথেষ্ট টাকা ছিল, তবু আমার বেতন নিয়ে আমাকেই হয়রানি, হেনস্থা করত বারেবারে।‘

এখানেই শেষ ন্য, মানি ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে ভ্যালিয়াভিটিলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যখন, তখন বুঝতে পারেননি এমপ্ন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে রয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে স্বামী যে কোনও সময় কুকুরের মতো মারধোর করত। তাঁর স্বামী পর্নোগ্রাফির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁকে জোরপূর্বক যৌন কার্যকলাপে বাধ্য করতেন বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে সাত মাসের গর্ভবতী থাকাকালীন তাকে খাবার টুকুও খেতে দেওয়া হত না। অত্যাচার করে বাড়ি থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছিল। মানির পরেই, প্রায় একি অভিযোগ উঠল আবার। অত্যাচারে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যুবতী, অভিযোগ পরিবারের।
