আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারে ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তার আগেই সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। যা নিয়ে চরম শোরগোল পড়েছে। এবার মুসলমানদের 'নমক হারাম' (বিশ্বাসঘাত) বলে তোপ দেগেছেন তিনি। 

শনিবার বিহারের আরওয়াল জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন গিরিরাজ। তখনই বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ বলেন, "একবার আমি একজন 'মৌলবী' (ধর্মগুরু)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তাঁর আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য কার্ড আছে কিনা? তিনি হ্যাঁ বলে উত্তর দিয়েছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে হিন্দু-মুসলিমের ভিত্তিতে কি এই কার্ড বিতরণ করা হয়? তখন তিনি নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন।"

এরপরই গিরিরাজ তোপ দাগেন। বলেন, "যখন আমি তাঁকে (মৌলবী) জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, সে আমাকে ভোট দিয়েছে কিনা? তিনি হ্যাঁ উত্তর দিয়েছিল হ্য়াঁ। কিন্তু যখন আমি তাঁকে খোদার (ঈশ্বরের) নামে শপথ করতে বললাম, তিনি বললেন না, তিনি করেনি। মুসলমানরা সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নেয় কিন্তু আমাদের ভোট দেয় না... এই ধরণের লোকদের 'নমক হারাম' বলা হয়। আমি মৌলবী সাহেবকে বলেছিলাম যে আমি 'নমক হারাম'দের ভোট চাই না।" 

বিজেপি নেতা আরও বলেন যে, তিনি ওই মুসলিম ধর্মগুরুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি তাকে গালি দিয়েছেন? উত্তরে তিনি চরম নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছি যে, আমি কি তাঁকে অপমান করেছি যার জবাবে তিনি 'না' বলেছিলেন। তারপর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম যে আমার দোষ কী যে তিনি আমাকে ভোট দেয়নি? যে দয়া স্বীকার করে না তাকে 'নমক হারাম' বলা হয়।" 

?ref_src=twsrc%5Etfw">October 19, 2025

গিরুরাজ সিং বলেন, এনডিএ সরকার বিহারের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অনেক পরিকাঠামোগত কাজ করেছে। তিনি বলেন, "বিহারে রাস্তাঘাট কেবল এনডিএ নেতা-কর্মীদের জন্য নয়, জনগণের জন্যও তৈরি করা হয়েছে... বিহার এখন বদলে গিয়েছে... এনডিএ সরকার সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর জন্য কাজ করে, কিন্তু মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয় না।"  

সিং-এর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, আরজেডি রাজ্য মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি পিটিআই-কে বলেছেন, "এটা খুব সত্য যে বিজেপি নেতারা হিন্দু-মুসলিম ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেন না। তারা ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, উন্নত শিক্ষা এবং চিকিৎসা সুবিধা নিয়ে কথা বলতে পারেন না... যখনই আপনি তাঁদের সঙ্গে উন্নয়নের কথা বলেন, তাঁরা হিন্দু-মুসলিম বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন এবং মূল বিষয়গুলি থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন।" 

২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভা ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু'টি পর্যায়ে ভোটগ্রহণ হবে, ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৪ নভেম্বর।