আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্যাবের বিল ছিল ১২৯ চাকা ৯৫ পয়সা। ক্যাবের সওয়ারি সাংবাদিক ১২৯ চাকা মিটিয়েছিলেন। বাকি ৯৫ পয়সা নিয়েই যত ঝামেলা। যা শেষপর্যন্ত তমুল আকার ধারণ করে। সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন যে, চালক তাঁর সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছেন। অন্যদিকে চালকের অভিযোগ যে, তিনি সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। ক্যাব চালক ও মহিলা সাংবাদিকের মধ্যেকার সেই বচসার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে। নেটপাড়ায় বেশিরভাগই দুষেছেন ওই সাংবাদিককে। 

ঘটনাটি দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ ওই ভিডিও সমাজমাদ্যমে প্রথমে শেয়ার করেন। পরে সাংবাদিক শিবাঙ্গী শুক্লা তাঁর বক্তব্য এবং বেশ কয়েকটি ভিডিও-সহ অনলাইনে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন।

ভাইরাল ভিডিও-র শুরুতেই মহিলা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে ক্যাব চালককে বলতে শোনা যায় যে,  "আপনি সাংবাদিক বলে বিল দেবেন না?" পাল্টা ওই সাংবাদিক বলেন, "আপনি অভদ্রভাবে কথা বলছেন।" ক্যাব চালক সাংবাদিককে 'দিদি' বলে সম্বোধন করছিলেন। সাংবাদিক শুক্লা তাদের বিরোধের সমাধানের জন্য চালককে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। চালক রাজি হন কিন্তু দাবি করেন যে, তিনি থানায় ড্রপ লোকেশন দেওয়ার পরেই গাড়ি চালাবেন।

ঘটনার বিবরণ অনলাইনে শেয়ার করে সাংবাদিক শুল্কা বলেন যে, ঘটনাটি নয়ডার ফাঁকা এলাকায় ঘটেছে। মহিলার দাবি, চালককে উবার অ্যাপে উল্লেখিত সঠিক স্থানে তাঁকে নামিয়ে দিতে বললেও সে রাজি হননি।

এরপরই সাংবাদিক এক ভিডিও পোস্ট করে বলেন, "তাই (আমি) বিলটি পরিশোধ করতে এগিয়ে গেলাম যা ছিল ১২৯.৯৫। আমার তাড়া ছিল, তাই আমি UPI তে ১২৯ টাইপ করলাম কিন্তু সে বলল যে সে ৯৫ পয়সা চায়। সে ৯৫ পয়সা নিয়ে খুব আক্রমণাত্মক ছিল। সে চিৎকার করতে শুরু করল এবং আমি যখন রেকর্ডিং শুরু করলাম তখনই সে শান্ত হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম ৯৫ পয়সার জন্য তুমি কেন এমন করছো? হঠাৎ, সে গাড়ি চালাতে শুরু করল, আমার মনে হল সে আমাকে অপহরণ করার চেষ্টা করছে।"

উবার চালক তাঁকে  বলেছিলেন "তোমরা ধনী তাও কেন এমন করো?" পাল্টা মহিলা সাংবাদিক বলেন "আমি কেবল একজন সাংবাদিক।"

এই সময় চালক তাঁর ফোন বের করে সাংবাদিককে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সাংবাদিক বলেন, "আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এই চালক তাঁর উবার ইউনিফর্ম পরে নেই এবং তাঁর মুখ অ্যাপ প্রোফাইল ছবির সঙ্গে মিলছে না। আমি সত্যিই কোণঠাসা বোধ করছিলাম এবং আমার নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ বলে অনুভব করছিলাম। আত্মরক্ষার জন্য আমি তাঁর ফোনটি নিয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে।" 

সাংবাদিক বলেন যে, চালক তখন ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। ভিডিওতে, চালককে বলতে শোনা গিয়েছে, "আমি দু'বার ক্ষমা চেয়েছি। খুশি হও যে তুমি আমাকে ১৩০ টাকা দিয়ে প্রতারণা করেছো।"

তাঁর সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্য কোনও মহিলার সহ্গেও হতে পারতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহিলা সাংবাদিক শিবাঙ্গী শুক্লা। এই ধরনের চালকের কীর্তি সকলের জানা ও সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">March 21, 2025
?ref_src=twsrc%5Etfw">March 22, 2025

তবে নেটিজেনরা চালকের পক্ষে। একজন ব্যবহারকারী উল্লেখ করেছেন যে, চালক ঠিক বলেছেন। যখন তিনি অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলেছেন তখন তিনি মোটেও অভদ্র নন। দুর্গেশ বাওয়া নামে একজন ব্যবহারকারী বলেন, "যদি সে ৯৫ পয়সা চায়, তাহলে অনলাইনে কেন টাকা দেবেন না? তোমার অহংকারে আঘাত লেগেছে তাই তুমি রেকর্ডিং শুরু করেছ। চালক তোমার ভিডিওতে মাত্র ৯৫ পয়সা চাইছিল এবং তুমি খারাপ ব্যবহার করছিলে। তুমি নারী কার্ড খেলেছো।" অন্যজন লেখেন, "দুঃখিত, ম্যাডাম, তোমার যুক্তিটি আসল বলে মনে হচ্ছে না। যদি তোমার কাছে কম/কোন টাকা না থাকে তাহলে বাসে ভ্রমণ করুন অথবা হেঁটে যান।"