আজকাল ওয়েবডেস্ক: শালি ও জামাইবাবুর মধ্যে প্রায়ই ইয়ার্কি ঠাট্টা লেগে থাকত। এভাবেই ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই তা প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। দু'জনে নিয়মিত সহবাস করতে শুরু করেন। এরপর কিছু পরিবার তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে আঁচ পেতেই যুগল বাড়ি ছেড়ে পালন এবং অন্যত্র গিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। এখানেই শেষ না, ওই যুগল কিছুদিনের মধ্যেই থানার  দারস্থ হন এবং পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চান। পুলিশকে যুগল যা অভিযোগ করেন তা শুনলে হতবাক হতে হয়।

পরকিয়ার জের! পরিবারের কোনওভাবেই সম্পর্কে মত দেয়নি। তাই জামাই বাবুর হাত ধরেই পালাল শালি:
জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে প্রেম চলছিল শালি এবং জামাই বাবুর। শ্বশুর বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়ত ছিল গোবিন্দের। সেখান থেকেই শালি মৌসমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর একে অপরকে ফোনে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। তাতেই তাঁদের সম্পর্কের জল আরও দূর অবধি গড়ায়। তাঁদের সম্পর্কের গাঢ়ত্ব দেখে গোবিন্দ স্ত্রীর মনেও সন্দেহ জাগে। এমনকি গোটা পরিবারও আঁচ করতে পারে শালি এবং জামাই বাবুর সম্পর্ক। পরিবার আপত্তি জানালেও তখন পরকিয়া সম্পর্কের কথা যুগল মানতে চাননি।

এরপরেই, মৌসম গুঞ্জন শোনেন যে, তাঁর পরিবার তাঁদের সম্পর্কে ভাংচি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তড়িঘড়ি বিষয়টা তিনি তাঁর প্রেমিক ততা জামাইবাবুকে জানান এবং পালানোর প্রস্তাব দেন। তিনি জামাই বাবুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, এখনই না পালালে জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হবেন তিনি। শালীর প্রস্তাব মেনে নেন জামাইবাবু। এরপরে তাঁরা দু'জন পালিয়ে গিয়ে রাজস্থানের চুরুতে থাকতে শুরু করেন। এর আগে গোবিন্দ, লোহাসানা বড়া গ্রামে থাকতেন এবং শালী মৌসম জাবাসার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। 

দিন কয়েক একসঙ্গে থাকার পর আচমকাই ওই যুগল থানায় পৌঁছান। পুলিশকে গোটা ঘটনা জানিয়ে পরিবারের হাত থেকে বাঁচতে বিশেষ নিরাপত্তার দাবি করেন যুগল। পুলিশকে যুগল আরও বলেন যে, ২০১৬-তে  গোবিন্দর সঙ্গে মৌসমের দিদির বিয়ে হয়েছিল। পেশায় ইঞ্জিনিয়র  গোবিন্দ বর্তমানে দু'টি সন্তান আছে। সে কারণেই পরিবার তাঁদের সম্পর্কে সম্মতি জানায়নি। যে কোনও সময় বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে বলে পুলিশের কাছে আশঙ্কা জানিয়েছে যুগল।