আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার বিধানসভা ভোটে জন সুরাজ পার্টি (জেএসপি) কটা আসন পেতে পারে? তা নিয়েই মুখ খুললেন ভোটকুশলী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা প্রশান্ত কিশোর। করলেন বড় দাবি। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন যে, বিহারবাসী তার দলের উপর আস্থা রাখলে, জন সুরজ পার্টি ১৫০টিরও বেশি আসন পেতে পারে। আর তেমন যদি না হয়, তাহলে ১০টি আসনও মিলবে না। প্রশান্ত কিশোরের দাবি, ২৪৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জন সুরজ পার্টি কম আসন পেলে তা "পরাজয় হিসেবে বিবেচিত হবে"। পাশাপাশি একদা ভোটকুশলী জানিয়েছেন যে, 'বৃহত্তর স্বার্থে' তিনি আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না।

এনডিএ বা মহাগঠবন্ধন নিয়ে বিচলিত নন প্রশান্ত কিশোর। বৃহৎ দুই জোটকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, "এখন বলটা পুরোপুরি বিহারের মানুষের কোর্টে। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন, কেমন সরকার আর কেমন নেতা চান। যদি আগের মতোই দুঃখ-কষ্টে বাঁচতে চান, তাহলে যাকে খুশি বেছে নিক। ভাল শাসন আর সন্তানদের ভবিষ্যত উন্নত করতে হলে জন সুরাজ পার্টি আছে।" ভোটের পর প্রয়োজন পড়লেও সরকার গড়তে তিনি কোনএও জোটের অংশ হবেন না দাবি করেছেন প্রশান্ত।

বিহারবাসীর উন্নয়নই দলের একমাত্র লক্ষ্য, তা বার বার উঠে এসেছে পিকে-র কথায়। বলেন, "এত আলোচনা, প্রচারের পর মানুষ বুঝে গিয়েছে এই পথই বিহারের দুর্দশা থেকে মুক্তির রাস্তা। এখন মানুষ যদি বিশ্বাসের ঝাঁপ দেয়, তাহলে সব অঙ্ক উল্টে যাবে। এতদিন মানুষ বলত বিকল্প নেই, এখন তো আছে। যদি এখনও ভুল করেন, তাহলে পরিবর্তন হবে না। দুর্নীতি,  কর্মসংস্থানের অভাব, সব একই থাকবে। বিহারের ছেলেমেয়েরা অন্য রাজ্যে কাজ খুঁজতে যেতে বাধ্য হবে।"

ভাল মানুষজনকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানান পিকে। প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে ঠিক কী কী বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তাও বলেন তিনি।

১০ অক্টোবর আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের কেন্দ্র রাঘোপুর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে ফেলেছেন প্রশান্ত। তেজস্বী প্রসঙ্গে কিশোরের মন্তব্য, "এইবার রাঘোপুরে তেজস্বীর জেতা কঠিন হবে। আরজেডিরও আগের মতো আসন পাওয়া সম্ভব নয়।" তিনি মনে করেন, ২০২০ সালের ভোটে চিরাগ পাসওয়ানের একক লড়াই আরজেডির ‘সৌভাগ্য’ হয়ে উঠেছিল।  যুক্ত করেন, 'চিরাগ পাসওয়ান তখন শুধু জেডিইউ-র আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, ফলে আরজেডি ৩৮টি আসনে বাড়তি সুবিধা পায়। ওই ৩৮ বাদ দিলে তেজস্বীর দলের প্রকৃত শক্তি ২৫-৩০ আসনের বেশি নয়। এইবার সেই ‘অ্যাডভান্টেজ’ নেই।"

এনডিএ সরকারের ১০,০০০ টাকার ভাতা এবং তেজস্বীর 'প্রতি পরিবারে সরকারি চাকরি' প্রতিশ্রুতির এদিন কড়া সমালোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর। বিশ্বের কোনও দেশই ৩.৫ কোটি মানুষকে সরকারি চাকরি দিতে পারে না বলে উল্লেখ করেন। আর শেষে নিজের দলকে ‘আম আদমি পার্টি’-র সঙ্গে তুলনা করার প্রসঙ্গে বলেন, 'আম আদমি পার্টি এসেছে এক আন্দোলন থেকে। আমি আন্দোলনে বিশ্বাস করি না। তিন বছর ধরে বিহারে কাজ করছি, কিন্তু কোনও আন্দোলন করিনি।' 

আরও পড়ুন- কলেজ ক্যাম্পাসের শৌচলয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ একদা সহপাঠীর বিরুদ্ধে! পরে ফোন করে পিল লাগবে কিনা প্রশ্ন