আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড ভারতের জনগণকে আতঙ্কিত হয়ে জ্বালানি না কেনার আহ্বান জানাল। তারা জানিয়েছে যে, সমস্ত আউটলেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেট্রোল, ডিজেল এবং এলপিজি মজুদ রয়েছে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে যে, তাদের সরবরাহ কাজ কোনও সমস্যা ছাড়াই চলছে।


ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে আইওসিএল শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বার্তা পোস্ট করে বলেছে, “ইন্ডিয়ান অয়েলের সারা দেশে প্রচুর জ্বালানি মজুদ রয়েছে এবং আমাদের সরবরাহ লাইনগুলি সুষ্ঠুভাবে চলছে। আতঙ্কিত হয়ে কেনার কোনও প্রয়োজন নেই—আমাদের সমস্ত আউটলেটে জ্বালানি এবং এলপিজি সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।” ভারতের জনসাধারণকে শান্ত থাকার এবং পেট্রোল পাম্পগুলিতে অযথা ভিড় এড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে।


কেন এই আতঙ্ক?
শুক্রবার আইওসিএলের শেয়ারের দাম নিচের দিকে চলছে এবং স্টক মার্কেটে ১% কমেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ভারতীয় শহরগুলিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পর আইওসিএলের পক্ষ থেকে এই বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে।


এদিকে আগের দিন প্রায় ৩% বৃদ্ধির পর শুক্রবার তেলের দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ০৫০৭ জিএমটি পর্যন্ত, ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ২৩ সেন্ট বা ০.৩৭% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৬৩.০৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দাম ২১ সেন্ট বা ০.৩৫% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৬০.১২ ডলারে পৌঁছেছে। 


আইওসিএলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে, বিশেষ করে উত্তর ভারতের কিছু অংশে, দীর্ঘ লাইনের ভিডিও এবং পোস্ট প্রকাশ পেতে শুরু করার পর অনেক লোককে জ্বালানি মজুদ করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

 

'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই আতঙ্ক-কেনাকাটা শুরু হয়েছে। যেভাবে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে সেখানে হয়তো আগামীদিনে আরও বড় সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি করেছে। যার ফলে কিছু কিছু এলাকার মানুষ আগামীদিনে জ্বালানি ঘাটতির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।


পাঞ্জাবে বিশেষ করে সীমান্তের কাছাকাছি শহরগুলিতে আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। বুধবার, বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের তাদের যানবাহন এবং জ্বালানি ভরার জন্য পেট্রোল পাম্পে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক মানুষ খাদ্য, ওষুধ এবং গ্যাস সিলিন্ডারের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও ছুটে এসেছেন।


দেশের অন্যতম বৃহত্তম জ্বালানি সরবরাহকারী ইন্ডিয়ান অয়েল স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে তাদের বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। তারা আরও জানিয়েছে যে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয় কোনও সতর্কতা জারি করেনি। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সারা দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে।