আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনা যন্ত্রাংশ দিয়ে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ড্রোন তৈরির অভিযোগ। তাই দেশীয় ড্রোন নির্মাতা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। বাতিল করা হল ২৩০ কোটি টাকার চুক্তি। পূর্ব লাদাখে নজরদারির জন্য ওই টাকায় ৪০০টি ড্রোন কেনার কথা ছিল সেনার। 

৪০০টির মধ্যে ২০০টি মাঝারি উচ্চতার ড্রোন, ১০০টি ভারী ওজনের এবং ১০০টি হালকা ওজনের লজিস্টিক ড্রোনের বরাত দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু পরে জানা যায় যে, দেশীয় নির্মাতা সংস্থাগুলি সেনার জন্য তৈরি ড্রোন চিনা যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি করছে। যা দেশের সার্বভৌমত্বে বড় ঝুঁকি বলে মনে করে সেনা। ফলে দ্রুত নির্মাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

তবে, নিরাপত্তা-সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলিতে চিনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ফলে উদ্ভূত এই সমস্যা নতুন নয়।

২০১০ এবং ২০১৫ সালে, সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিজিএমআই) অতি স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় চিনা-হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছিল। একই সঙ্গে জোর দিয়েছিল যে, রিয়েল-টাইম ডেটা ফাঁসের ঝুঁকি রুখতে নিরাপত্তা সরঞ্জামের গুরুত্বপূর্ণ এবং তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি চিনের সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন নির্মাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

২০২৪ সালের অগাস্টে, কাশ্মীরের রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট ফিক্সড-উইং ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটিওএল) ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যা পরবর্তীতে পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (পিওজেকে) প্রবেশ করে। ঘটনার তদন্তের পর, কর্তৃপক্ষ সামরিক-গ্রেড ড্রোনগুলিতে চিনা উপাদান ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার করে।