আজকাল ওয়েবডেস্ক: তীব্র দাবদাহের মাঝে, আইসক্রিম কিনেছিলেন। ভেবেছিলেন, একটু শান্তি পাবেন। চোখ বুঝে কামড় বসিয়েছিলেন পছন্দের আইসক্রিমে।  অর্ধেক খাওয়াও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ কী! আইসক্রিমের ভিতর থেকে যা বেরিয়ে এল! শান্তি পরিণত হল দুঃস্বপ্নে।

ঘটনাস্থল গুজরাট। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গুজরাটের একটি দোকান থেকে আইসক্রিম কোন কিনেছিলেন মহিলা। আমেদাবাদের মানিনগর এলাকার মহালক্ষ্মী কর্ণার থেকে হ্যাভমোরের আইসক্রিম কেনেন নিজের জন্য এবং সন্তানদের জন্য। অভিযোগ, তিনি অর্ধেকের বেশি আইসক্রিম খেয়ে ফেলার পর বুজতে পারেন, আইসক্রিমের মধ্যে অন্য কিছুর উপস্থিতি। দেখেন কোনের মধ্যে রয়েছে টিকটিকির দেহের অংশ।  অভিযোগ, টিকটিকির লেজ ছিল আইসক্রিমে। 

আইসক্রিম খাওয়ার পরে পেটের ব্যথা, বমি-সহ একাধিক সমস্যা হয় তাঁর, অভিযোগ তেমনটাই। তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী হাসপাতালে যান।  সূত্রের খবর, তিনি ইতিমধ্যেই আমেদাবাদ পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে দোকান থেকে তিনি আইসক্রিম কিনেছিলেন, ওই মহালক্ষ্মী কর্ণারকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানের খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে লাইসেন্স ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। আইসক্রিম ব্র্যান্ড হ্যাভমোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। 

তদন্তে উঠে আসে, আইসক্রিম কোনটি নারোদা জিআইডিসি ফেজ ১-এর হ্যাভমোর আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইসক্রিম কোনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ওই সংস্থাকে বাজার থেকে ওই ব্যাচের সব আইসক্রিম কোন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার, নানা জায়গায়, নানা খাবারের মধ্যে প্রাণীর দেহাংশ মিলেছে। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।