আজকাল ওয়েবডেস্ক: বরাবরই মেধাবী পড়ুয়া। তাঁর মেধার প্রশংসা করতেন শিক্ষক, শিক্ষিকারা। স্নাতকের পরেই মাত্র ২১ বছর বয়সে আইএএস পরীক্ষায় প্রথমবারেই উত্তীর্ণ হন। দায়িত্ব পেয়েই পরপর দুর্নীতিতে তাঁর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরেই চরম পরিণতি তরুণীর। মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আইএএস আধিকারিককে। গত ২৮ মাস তিনি জেলবন্দি ছিলেন। অবশেষে জামিন পেলেন পূজা সিঙ্ঘল।
২১ বছর বয়সে আইএএস পরীক্ষায় পাশ করার পরেই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ঠাঁই হয় পূজার। দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মনরেগা প্রকল্পে পূজা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালে মে মাসে পূজার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। বিপুল সম্পত্তির কাগজপত্র পরীক্ষার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
প্রথমবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে পূজার পোস্টিং ছিল। খুঁটি জেলায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর চাতরা এবং পালামৌতে ছিলেন কয়েক বছর। ইডি সূত্রে খবর, খুঁটি জেলার ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীন ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল পূজার বিরুদ্ধে। চাতরা জেলার ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীনও তাঁর বিরুদ্ধে ফের ৪ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করার পর ২৮ মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি ২ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া পেয়েছেন।
